
প্রিন্ট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৮ এএম
নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিহাস গড়ে আর্সেনালের শিরোপা, বার্সেলোনার স্বপ্নভঙ্গ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

চলতি মৌসুমে পুরুষ ও নারী বিভাগে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন জাগিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে ছেলেদের মতো নারী দলও এবার ফাইনালে এসে হোঁচট খেল। শনিবার (২৪ মে) রাতে পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে কাতালানদের ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোপ সেরা হলো ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল।
চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনবারের শিরোপাজয়ী ও এবারের টুর্নামেন্টের ফেভারিট বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড স্টিনা ব্ল্যাকস্টেনিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধের ৭৪ মিনিটে তার শটই শিরোপার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
আর্সেনালের জন্য এটি ১৮ বছর পর ইউরোপীয় কোনো বড় প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয়ের মুহূর্ত। সবশেষ ২০০৭ সালে তারা উয়েফা ওমেন্স কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
ফাইনাল ম্যাচে প্রথমার্ধে দুই দলই রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ছন্দ ফিরে পায় বার্সেলোনা, তবে গোলপোস্টে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্লোদিও পিনার জোরালো শট। অন্যদিকে আর্সেনাল রক্ষণে শক্তিশালী থেকে বার্সার আক্রমণ ভেস্তে দেয় এবং সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণ চালায়। বার্সার গোলরক্ষক কাটা কোল কিছু দুর্দান্ত সেভ করলেও শেষ পর্যন্ত ব্ল্যাকস্টেনিয়াসের গোল ঠেকাতে পারেননি।
আর্সেনালের এই ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন সহকারী কোচ রেনে সেগলার্স, যিনি মূল কোচ ইয়োনাস আইডেভালের পদত্যাগের পর দায়িত্ব নেন। তার অধীনে দলটি রিয়াল মাদ্রিদ ও আটবারের চ্যাম্পিয়ন লিঁও-এর বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও জয় তুলে নেয় এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফাইনালে নামে।
বার্সেলোনার তারকা ফরোয়ার্ড ও দুইবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী আইতানা বোনমাতি ম্যাচ শেষে বলেন, আমরা আমাদের সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াব।
শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে আর্সেনাল খেলোয়াড়দের উল্লাস ও গ্যালারিতে সাদা-লাল পতাকা ওড়ানো ছিল এক রূপকথার পরিণতি। ম্যাচ শেষে স্ট্রাইকার আলেসিয়া রুসো বলেন, আমরা বিশ্বাস করেছিলাম এবং সেটাকেই বাস্তবতায় রূপ দিয়েছি।
এই জয়ে ইউরোপীয় নারী ফুটবলে নতুন করে নিজেদের জানান দিল আর্সেনাল।