
প্রিন্ট: ১৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
বাংলাদেশকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল আরব আমিরাত, সিরিজ জয়ে ওয়াসিমদের বাঁধভাঙা উল্লাস

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর আমিরাতের উদযাপন। ছবি: ক্রিকইনফো
প্রথম ম্যাচে হার—তাতেই সিরিজ শেষ হয়ে যায় না। তারই প্রমাণ দিল আরব আমিরাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে হারের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ওয়াসিমের দল। আর এ জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতে গড়েছে ইতিহাস।
শারজাহর মাটিতে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬২ রান। জবাবে আমিরাত ৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে নেয়।
জয়ের পর বাধভাঙা উদ্যাপন শুরু করে ওয়াসিমের দল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “এই জয় ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আলহামদুলিল্লাহ, সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। পুরো দল, কোচিং স্টাফ, বোর্ড—সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এটা আমাদের জন্য ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত।”
এদিন ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আমিরাতের স্কোর একসময় ছিল ১০.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৯। এরপর আলিশান শারাফু ও আসিফ খানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয় তারা। দুজনে গড়েন ৫১ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। আলিশান ৪৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ দাঁড় করানো কঠিন হয়ে পড়ে। তবে হায়দার আলীর বোলিংয়ে ভর করে আমিরাত ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে যায়। হায়দার ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন, যার মধ্যে একটি ওভার ছিল মেডেন। তিনি ফিরিয়ে দেন লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয় ও শেখ মেহেদী হাসানকে।
সিরিজজুড়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে সিরিজসেরা হয়েছেন আমিরাত অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিম। তিন ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৪৫ রান। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ওয়াসিম বলেন, “এই সিরিজ আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। আসিফ, আলিশান, রাহুল চোপড়া, হায়দার—সবাই যেভাবে খেলেছে, আমি খুবই সন্তুষ্ট।”
বাংলাদেশের মতো তুলনামূলক বড় দলের বিপক্ষে সিরিজ জয় আরব আমিরাতের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন। এর আগে আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে একক ম্যাচ জিতলেও, সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল এবারই প্রথম। ক্রিকেট বিশ্বে এই জয়ের মাধ্যমে নিজেদের নতুন করে জানান দিল আমিরাত।