
প্রিন্ট: ১৫ জুন ২০২৫, ০৩:৫৭ এএম
আমিরাতের ঘূর্ণিতে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ, সিরিজ হারের শঙ্কা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১১:২১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বরাবরই অনিয়মিত পারফরম্যান্স বাংলাদেশের। যদিও সর্বশেষ সিরিজে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদেরই ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে শক্ত বার্তা দিয়েছিল। কিন্তু সেই আত্মবিশ্বাস যেন উড়ে গেছে মরুর বালিতে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে চলমান সিরিজে একেবারে ছন্দহীন দেখা যাচ্ছে টাইগারদের। বিশেষ করে দ্বিতীয় ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতা আর বাজে পরিকল্পনায় হার দেখে সিরিজে সমতা ফেরে।
আজ তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নেমে আরও বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে লিটন দাসের দল। সিরিজ নির্ধারণী এই লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরু থেকেই ব্যাটিং ধস। মাত্র ৭১ রানেই সাজঘরে ফিরেছে ৭ ব্যাটার। একমাত্র উজ্জ্বলতা ছিলেন তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম, যিনি ১৮ বলে ৪০ রান করেন চারটি চার ও চারটি ছক্কায়।
তবে অন্যপ্রান্তে যেন একের পর এক ব্যাটার এসেছেন আর ফিরেছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই চারের মাধ্যমে ঝলক দেখালেও, দ্বিতীয় ওভারে পারভেজ ইমন বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন স্পিনার ধ্রুব পরাশরের বলে। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এই ম্যাচে ফিরলেন গোল্ডেন ডাক নিয়ে। লিটন কিছুটা স্থিরতা আনার চেষ্টা করলেও, হায়দার আলীর বলে এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন ১৪ রানে। একই ওভারে তার সঙ্গী তাওহীদ হৃদয়ও প্যাডে বল লাগলে আউট হন, যদিও দুইটি সিদ্ধান্তেই রিভিউ নেওয়ার সুযোগ থাকলে ফল ভিন্ন হতে পারত—কিন্তু এই সিরিজে নেই রিভিউ সুবিধা।
সহ-অধিনায়ক শেখ মেহেদীও ব্যর্থতার তালিকায় নাম লেখান—মাত্র ২ রান করে বোল্ড হন হায়দারের বলে। এরপর দ্রুত ফিরে যান শামীম পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন এবং ভালো শুরু পাওয়া তামিমও।
শেষ খবর অনুযায়ী, ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ৭৫/৭। ক্রিজে রয়েছেন জাকের আলি এবং তানজিম সাকিব।
আমিরাতের তরুণ স্পিনার হায়দার আলী পুরো ইনিংস জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তিনি কার্যত ধ্বংসের বীজ বুনে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাটিং লাইনআপে। তার মধ্যে ছিল একটি মেডেন ওভারও।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস দেখে মনে হয়েছে, তারা মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল না এই ম্যাচের চাপ নিতে। সামান্য টার্ন, সামান্য গতি পরিবর্তনেই উইকেট একের পর এক বিলিয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
শারজাহর উইকেটে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ কীভাবে লড়াইয়ে ফিরবে, তা এখন সময়ই বলবে। তবে স্পষ্টতই বলা যায়—এই ম্যাচটি শুধু সিরিজ জয়ের নয়, আত্মমর্যাদা রক্ষার লড়াইতেও পরিণত হয়েছে।