
প্রিন্ট: ১৮ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ এএম
নিষেধাজ্ঞা ঘিরে বিতর্কের পর মুখ খুললেন তাওহীদ হৃদয়

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

তাওহীদ হৃদয়
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার সিক্স পর্বে খেলার বাইরেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তরুণ ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয়। ১২ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে প্রথমে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে শাস্তি এক ম্যাচে কমিয়ে আনা হলে তা নিয়ে সৃষ্টি হয় তীব্র বিতর্ক।
হৃদয়ের শাস্তি লঘু করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত, যিনি পরে পদত্যাগেরও ঘোষণা দেন। এরপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির সঙ্গে একদফা বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসে— হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, তবে তা কার্যকর হবে পরবর্তী মৌসুমে।
তবে বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে আরেক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানিয়ে আবারও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পড়েন হৃদয়। এর ফলে তার ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়ায় ৮-এ, এবং সেইসঙ্গে নতুন করে ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে। এই শাস্তির ফলে ডিপিএলের ফাইনালতুল্য ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে মাঠে নামতে পারেননি তিনি। আবাহনীর বিপক্ষে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডান হেরে যায় ৬ উইকেটে।
পরাজয়ের পর হৃদয় নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি আবেগঘন বার্তা প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি পুরো মৌসুমের অভিজ্ঞতা ও মানসিক চাপের কথা তুলে ধরেন- ‘এবারের প্রিমিয়ার লিগে ২২ গজের বাইরেও একপ্রকার অলিখিত যুদ্ধ করে গেলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর কোনো দলকে এতটা মানসিক যুদ্ধ করতে হয়নি, যতটা মোহামেডান করেছে। প্রতিটি গল্পের দুটি দিক থাকে। হয়তো একপক্ষের চাপে অপরপক্ষ আমাদের কখনও জানার সুযোগ হয় না। তাই ঢালাওভাবে সবটা না জেনেই আমরা কিছু করে বসি বা বলে ফেলি। একদম শুরু থেকে যদি সবটাই বলতে পারতাম তবে কাহিনী হতো ভিন্ন, যেটা বলতে পারছি না, কেন পারছি না তা নাহয় পরেই বলব!
নিজেদের ভেতর অনেক কিছুই হয়, বড়-ছোট সবাই ভুল করে। পরিবারের অপর মানুষটা যেন ছোট বা অপমানিত না হয় সেজন্য নিজেকেও অনেক কিছু নিজের ঘাড়ে নিতে হয়। আবার সহ্য করতে হয়- হোক সেটা অপমান কিংবা ভালোবাসা। এগুলো মিলেই জীবন। আপাতত এটাই বুঝিয়েছি নিজেকে।
মোহামেডানের কর্তৃপক্ষ প্রত্যেকটি ম্যাচে আমাকে উপস্থিত রাখার জন্য যে চেষ্টা করেছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থ প্লেয়ার, শ্রদ্ধেয় কোচ ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালোবাসা।’