
প্রিন্ট: ১৮ জুন ২০২৫, ০৪:৪৭ এএম
বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ, আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ফারুক আহমেদ। বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব, বিপিএলে পেশাদারিত্বের ঘাটতি, টিকিট বিতরণে দর্শকদের ক্ষোভ এবং দলের বাজে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এবার তার বিরুদ্ধে বিসিবির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছে।
ক্রিকেট অঙ্গনে গুঞ্জন, বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ফারুক আহমেদ, তাও নাকি বোর্ড পরিচালকদের না জানিয়ে। তবে শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
বিবৃতিতে বিসিবি জানায়, জাতীয় গণমাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনে বিসিবি ও সভাপতি ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বিসিবি ব্যাখ্যা করে, ২০২৪ সালের আগস্টে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর আর্থিক স্বচ্ছতা এবং দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় ব্যাংকিং সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে, এর মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা ‘গ্রীন’ ও ‘ইয়েলো’ জোনভুক্ত নিরাপদ ব্যাংকে পুনঃবিনিয়োগ করা হয়। বাকি ১২ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বোর্ড আরও জানায়, সভাপতির একক সিদ্ধান্তে কোনো আর্থিক লেনদেন হয় না। এ ধরনের লেনদেনে বোর্ডের ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম স্বাক্ষর করে থাকেন। ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরকারী নন।
বিবৃতিতে বিসিবি অভিযোগ করে, ক্রিকেট প্রশাসনের ভেতরে থাকা একটি সুবিধাভোগী মহল ও ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। একইসঙ্গে জানানো হয়, বর্তমানে বিসিবি ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ সংরক্ষণ করছে, এবং এর ফলে অতিরিক্ত ২-৫ শতাংশ মুনাফা অর্জিত হয়েছে।
এছাড়া, চলতি সময়ে বিসিবি অংশীদার ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ ও ২০ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন বিনিয়োগের আশ্বাসও পেয়েছে।
শেষে, বিসিবি সত্যনিষ্ঠ তদন্ত ও পর্যালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে, ভিত্তিহীন প্রতিবেদন থেকে বিরত থাকতে গণমাধ্যমের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছে।