ছবি : সংগৃহীত
ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির তিন দিনের ভারত সফরকে ঘিরে শুরুতে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ঘটে যাওয়া নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনায় সেই আনন্দ অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়। সফর-পরবর্তী সময়ে এবার সামনে এসেছে এই আয়োজনের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সফরের মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন, এই সফরের জন্য লিওনেল মেসিকে প্রায় ৮৯ কোটি ভারতীয় রুপি পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২১ কোটি ৪ লাখ টাকা।
তদন্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, পুরো সফর বাস্তবায়নে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ কোটি রুপি। এর মধ্যে ভারত সরকারকে কর হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ১১ কোটি রুপি। আয়োজক শতদ্রু দত্তের দাবি অনুযায়ী, এই বিপুল ব্যয়ের বড় অংশই এসেছে স্পন্সরশিপ ও টিকিট বিক্রির অর্থ থেকে।
এদিকে শতদ্রু দত্তের ব্যাংক হিসাব বর্তমানে জব্দ করা হয়েছে, যেখানে ২০ কোটি রুপির বেশি অর্থ জমা রয়েছে বলে জানা গেছে।
অর্থনৈতিকভাবে সফল হলেও সফরটি মেসির জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল না বলেই জানিয়েছে তদন্তকারী বিশেষ দল (এসআইটি)। প্রতিবেদনে বলা হয়, বারবার দর্শকদের স্পর্শ বা জড়িয়ে ধরার চেষ্টায় মেসি বিরক্তি প্রকাশ করেন। পাশাপাশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের স্বজনদের মাঠে বিশেষ সুবিধা দেওয়া এবং দর্শকদের ভাঙচুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন লিওনেল মেসি।
ঘটনাটি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক অঙ্গনেও শুরু হয় তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা। এর জেরে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। সল্টলেক স্টেডিয়ামে দর্শকদের বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।



