বল ও ফিল্ডিংয়ে সাধ্যমতো চেষ্টা করেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে সিরিজ হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানকে ১৯০ রানে থামিয়েও সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ১০৯ রানে গুটিয়ে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ফলে ৮১ রানের লজ্জাজনক হারে সিরিজও হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।
শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ৫০ ওভারে ১৯০ রানে থামে আফগানিস্তান। এই মাঠে ওয়ানডে ইতিহাসে এটি প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর। কিন্তু সেই সহজ লক্ষ্যও স্পর্শ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২২.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৯৯ রানে থাকা দলটি শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০ রানে বাকি ৫ উইকেট হারায়। অলআউট হয় ৩১.৩ ওভারে, হাতে তখনও ছিল ১২৯ বল।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হতাশ মিরাজ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের ব্যাটাররা যথেষ্ট দায়িত্ব নিচ্ছে না। এমন রান তাড়া করে সহজে জেতা উচিত ছিল। কিন্তু আজ (গতকাল) আমরা জঘন্য ব্যাটিং করেছি। টপ অর্ডারে জুটি গড়ার কথা বলেছিলাম, কিন্তু সেটা হয়নি। দায়িত্ব নিতে না পারাটাই বড় সমস্যা।
এর আগে বাংলাদেশি বোলাররা আফগানদের ৯ উইকেটে থামিয়ে দারুণ লড়াই দেন। মিরাজ নেন ৩ উইকেট, রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব ২টি করে, মোস্তাফিজুর রহমান নেন ১টি উইকেট। ফিল্ডিংয়েও ছিল উজ্জ্বল মুহূর্ত—তানজিদ হাসান তামিমের ডিরেক্ট থ্রোতে রানআউট হয় এক ব্যাটার।
তবে ব্যাট হাতে কেউই আলো ছড়াতে পারেননি। নাজমুল হোসেন শান্ত অদ্ভুত রানআউটে ফেরেন, সাইফ হাসান অপ্রয়োজনীয় আপার কাট খেলতে গিয়ে আউট হন। তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের ২৯ রানের জুটি কিছুটা আশা জাগালেও রশিদ খানের স্পিনে ভেসে যায় বাংলাদেশ। আফগান এই লেগস্পিনার ৮.৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন, যার মধ্যে ছিল ২টি মেডেন ও এক দুর্দান্ত ক্যাচ।
এ বছরের ওয়ানডে পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ এখন ভয়াবহ ব্যাটিং সংকটে ভুগছে। সাত ম্যাচে দলটি কেবল একবারই ৫০ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে। গতকালকের ধস কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জুলাইয়ে ৫ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ড এখনও টাটকা।
মিরাজের ভাষায়, যদি ওয়ানডেতে রান করতে না পারি, তাহলে টিকে থাকতে পারব না।



