ছবি - মোহাম্মদ সালাউদ্দিন
জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে একজন ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেওয়ার কথা বেশ কিছুদিন ধরে শোনা গেছে। এই পরিকল্পনা শিগগিরই বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বিসিবি। সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার জুলিয়ান উডকে পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে নিয়োগের প্রক্রিয়া এগিয়ে গেছে। আগামী মাসে জাতীয় দলের ক্যাম্পে দেখা যেতে পারে ৫৬ বছর বয়সি এ ব্যাটিং কোচকে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে কাজ করা জুলিয়ানকে দীর্ঘ মেয়াদে নিয়োগ দিতে চায় বিসিবি। তিনি রাজি হলে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হবে।
বিসিবির একজন পরিচালক জানান, ব্যাটিং পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে একজন ভালো মানের বিদেশি কোচ লাগবে। ইংলিশ কোচ জুলিয়ান হলে ভালো হবে। ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ কোচ নিয়োগ দেওয়া হলেও সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেও রাখা হচ্ছে। তবে তার দায়িত্ব কমছে।
লিটনদের ব্যাটিং দেখতেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সালাউদ্দিন দেশে থাকায় বিরতির সময়েও ব্যাটারদের স্কিল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পান। গত আট মাসে ক্যাম্প, সিরিজ এবং বিরতিতে ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে ব্যাটিং পারফরম্যান্স ভালো না হওয়ায় ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় কথা ওঠে। বিসিবি পরিচালনা পর্ষদ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ব্যাটিং কোচ নিয়োগের সুপারিশ করে। বিশেষ করে, টি২০ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে পাওয়ার হিটিং কোচ নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়।
জুলিয়ান নিয়মিত দলের সঙ্গে কাজ করলে সালাউদ্দিনের ভূমিকা কী হবে? তিনি কি প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন মাঠে? এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘সবকিছু দেখার পর আমাদের মনে হয়েছে একজন ব্যাটিং কোচ লাগবে। সে জন্য বিদেশি ব্যাটিং কোচ নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশি কোচ হিসেবে সালাউদ্দিনও থাকবে। সে সিমন্সের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে।’
ব্যাটিং কোচ হিসেবে জুলিয়ানকে বেছে নেওয়ার পেছনে সিমন্সের ভূমিকা থাকতে পারে। কারণ তিনি ইংল্যান্ডে থাকেন এবং নিজেদের জানাশোনা ভালো। জুলিয়ান খেলা ছাড়ার পর কোচিং পেশা বেছে নেন। আইপিএলে পাঞ্জাব কিংসের কোচ ছিলেন। পিএসএলে মুলতান সুলতানের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন এ বছর। মে মাসে থামি টাউন ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৮ দলের নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারদের কোচ হিসেবে। তবে জুলিয়ানকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে তা নয়। সুযোগ-সুবিধায় বনিবনা হওয়ার ব্যাপার আছে। নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলোচনায় সমঝোতা হলে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। আর বনিবনা না হলে বিকল্প চিন্তা করতে হবে বিসিবিকে। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে কম সময় বেশি টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তবে ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের কোচের তকমা পেতে জুলিয়ানের জন্য এটি একটি সুযোগ।



