
প্রিন্ট: ২৩ জুন ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম
২০-৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ১১:০০ এএম

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ভবন। ছবি: সংগৃহীত
দেশের অন্তত ২০ থেকে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির (বিওটি) বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, তহবিল তছরুপসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট বিওটি ভেঙে প্রশাসক বসানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গুরুতর অভিযোগ থাকলে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসক নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সব কিছুই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় করা হবে।”
অভিযোগগুলোর মধ্যে অর্থ পাচারকে প্রধান উল্লেখ করে তিনি জানান, তহবিল তছরুপসহ আরও নানা আর্থিক অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যে সহায়তা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), ইউজিসির নিজস্ব অনুসন্ধান, গণমাধ্যম এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য।
আনোয়ার হোসেন আরও জানান, প্রতিটি অভিযোগপত্র খতিয়ে দেখতে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কমিটি কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির কথা উল্লেখ করেন, যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটিগুলোর আহ্বায়ক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাবেক বিচারকদের রাখা হয়েছে। ইউজিসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারাও এসব কমিটিতে যুক্ত রয়েছেন।
ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর শিক্ষার্থী ও আয় বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুর্নীতিও। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউজিসির এক কর্মকর্তা জানান, আগের সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল, যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও তারা ইউজিসিকেই দায়িত্ব দিয়েছে। কমিশনের পূর্ণ সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
সূত্র : ইউএনবি