
প্রিন্ট: ২০ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৫ এএম
প্রধান উপদেষ্টার সফর : প্রশিক্ষণ দিয়ে বিনাখরচে এক লাখ কর্মী নেবে জাপান

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান। দেশটিতে যেতে উন্মুখ বাংলাদেশি কর্মীরা। উদীয়মান সূর্যের এই দেশটিতে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কর্মসংস্থানের পথ আরও প্রশস্ত হচ্ছে।সম্প্রতি জাপানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ কর্মী নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী শ্রমিকদের জাপানি ভাষা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
গত ১ জুন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বলেন, জাপানে কর্মী পাঠানো এবং দেশটির ম্যানপাওয়ার মার্কেট নিয়ে কাজ করার অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জাপান পাঁচ বছরে এক লাখ লোক নিতে চায়। এ বিষয়ে কাজ করা হবে। এছাড়া জাপানে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ভিসা জটিলতা তৈরি হতো তা সমাধানেও আলোচনা হয়েছে।
গত ২৯ মে প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফরের সময় তিনটি জাপানি কোম্পানির সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। এই সমঝোতা স্মারকটি হচ্ছে জাপানের সঙ্গে দক্ষতা ও ভাষা উন্নয়নে মানবসম্পদ বিষয়ক স্মারক।
এই সমঝোতা স্মারকের প্রথমটি বিএমইটি ও কাইকম ড্রিম স্ট্রিট (কেডিএস) এবং দ্বিতীয়টি বিএমইটি, জাপানের ন্যাশনাল বিজনেস সাপোর্ট কম্বাইন্ড কোঅপারেটিভস (জাপানে ৬৫টির বেশি কোম্পানির একটি ফেডারেশন এনবিসিসি) ও জাপান বাংলা ব্রিজ রিক্রুটিং এজেন্সির (জেবিবিআরএ) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকের ফলে জাপানের প্রশিক্ষকরা নরসিংদীর মনোহরদীতে অবস্থিত টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) ভাষা ও দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। প্রশিক্ষণের পর কর্মীদের স্পেসিফায়েড স্কিল ওয়ার্কার টেস্ট (এসএসডব্লিউ) নেওয়া হবে। যারা কৃতকার্য হবেন তারা বিনাখরচে জাপানে যেতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আশরাফ হোসেন বলেন, সমঝোতা স্মারকের আওতায় তারা (জাপান) প্রশিক্ষণ দেবে, তারাই পরীক্ষা নেবে। তারা এসে ট্রেনিং দেবে, এটা খুবই ভালো দিক।
আশরাফ হোসেন আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন সেহেতু আমরা এক লাখ কর্মী তৈরি করব। তবে এক লাখ দক্ষ কর্মী জাপানে পাঠানো আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা বিশ্বাস করি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব। এরই মধ্যে আমরা আমাদের কাজ শুরু করেছি।’
কোন কোন সেক্টরে কর্মী যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিএমইটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি এখনো সমঝোতা স্মারক হাতে পাইনি। এই যে এক লাখ লোক নেবে, স্কিল কী কী হবে? সেই অনুযায়ী কর্মীদের দক্ষ করার ক্ষমতা আমাদের আছে কিনা, সেটা এখন জরুরি। এমওইউর কপি হাতে পেলে বিস্তারিত জানাতে পারব।’