BETA VERSION শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
Logo
ইউনিকোড কনভার্টার
Logo
  • হোম
  • সর্বশেষ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • সারাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • প্রবাস
  • চাকরি

সব বিভাগ ভিডিও আর্কাইভ ইউনিকোড কনভার্টার
Logo

প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৬ এএম

Swapno

রাজনীতি

সরকার ও বিএনপি বিরোধের নেপথ্য-

Icon

স্টাফ রিপোরর্টার :

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম

সরকার ও বিএনপি বিরোধের নেপথ্য-

ছবি-সংগৃহীত

নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে দুরত্ব বেড়েছে অন্তবর্তী সরকারের। এপ্রিলে ভোটের ঘোষণা দেওয়ার পরও তা কমেনি। যদিও ঈদের পরের দিন বিএনপির নেতাদের এ বিষয়ে সতর্ক করে সরকারের সঙ্গে দুরত্ব কমানোর নির্দেশ দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ার পারর্সন বেগম খালেদা জিয়া।

পরে বিএনপি নেতাদের সুর কিছুটা নরম হলেও ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবীর জায়গা থেকে এখনও সরে আসেনি দলের শীর্ষ নেতারা। এরইমধ্যে আগামী ১৩ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠেয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু শুধুই কি নির্বাচনের সময় নিয়ে সরকারের দুরত্ব বেড়েছে না ভেতরে অন্য কোন বিষয় আছে তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক অঙ্গনেও চলছে নানা ধরণের কানাঘুষা।


একটি দায়িত্বশিল সূত্রমতে, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর পাশাপাশি উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। একই সাথে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। এই চার পদে কারা আসবেন সেটা নির্বাচনে দেশের জনগণ ঠিক করবেন। তবে এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে বিএনপির একক সংখ্যাগরিষ্টতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণে এই দলটিই ঠিক করবেন এই চার পদে কারা বসবেন। এমন পরিস্থিতিতে দলটির কাছে এই চার পদের জন্য একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী ও তারেক রহমানকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্রেসিডেন্ট পদে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি এনসিপির অন্তত ৪ নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় দেওয়ারও প্রস্তাব রয়েছে।


সূত্রমতে, বিএনপির নেতাদের কাছে এই প্রস্তাব যাওয়ার পর থেকেই তারা দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার দাবিতে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্যে দেওয়া শুরু করেন। বিএনপি নেতাদের ধারণা, সময় ক্ষেপণের মাধ্যেমে বিএনপিকে সাধারণ জনগণের কাছে আরো বিতর্ক করার চেষ্টা চলছে। নানা ধরণের অভিযোগে বিভিন্ন মিডিয়ায় নেগেটিভ নিউজ করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য সাধারণ জনগণ থেকে বিএনপিকে বিচ্ছন্ন করা। এই সুযোগে সরকারের গুরুত্বপূর্ণস্থানে জামায়াত সমর্থীত লোকজনকে বসানো হচ্ছে। বিএনপির সমর্থকদের নানা ধরণের ট্যাগ দিয়ে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। পুলিশ ও সিভিল প্রসাশনেও একই অবস্থা। এসব কারণে মূলত বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বেড়েছে। তবে খালেদা জিয়ার হস্তক্ষেপে সেই দূরত্ব কিছুটা হলেও কমেছে।


সূত্রমতে, আগামী ১৩ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠেয় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এরইমধ্যে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন। সেখানে তিনি তারেক রহমানের নাম প্রস্তাব করেছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি পদে ইউনূসের বিষয়ে তিনি সম্মত বলে এরইমধ্যে দলের নেতাদের জানিয়েছেন। অন্য প্রস্তাবগুলো পরে নির্বাচনের পর ভেবে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। আপাতত দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে কি করণীয় সে বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ নিয়েছেন। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে তারেকের সঙ্গে বৈঠকে চলমান দূরত্ব কমে আসবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের সময় ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছেন।


সূত্রমতে, ওই বৈঠকে বিএনপির নেতাকর্মীদের আরো সংযত হয়ে চলার অনুরোধ থাকবে ইউনূসের পক্ষ থেকে। এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়েও সীদ্ধান্ত আসতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে আলোচনার উপর। সেখানে উভয় পক্ষ থেকে কতটুকু ছাড় দেওয়ার মানুষিকতা রয়েছে তার উপর। তবে এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার সীদ্ধান্তের বাইরে তারেক রহমান কোন কথা বলবেন না বলেও সূত্র দাবি করেছে।


সূত্রমতে, জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে রাজনীতিতে যে অস্থিরতা বিরাজ করছিল, ভোটের সম্ভাব্য সময় ঘোষণায় সেটি আপাতত কমেছে। যদিও এপ্রিলে ভোটের ঘোষণাকে বিএনপি মেনে নেয়নি। এখন দেশের রাজনীতি-সচেতন সবার দৃষ্টি লন্ডনের এই বৈঠকের দিকে। বৈঠকে ভোটের দিনক্ষণ, সংস্কার, জুলাই সনদসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে কী বোঝাপড়া হয়, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে।


ঈদুল আজহার আগের দিন (৬ জুন) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। বিএনপিসহ অনেক দল এ ‘সময়সীমা’ মেনে না নিলেও ভোটের সম্ভাব্য সময় ঘোষণাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকে। যদিও রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করেন, রোজার আগে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সময় নির্ধারণ করতে পারলে রাজনৈতিক বোঝাপড়া আরও স্বস্তিদায়ক হতো। অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে পৌঁছেছেন। এর আগেই মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্ভাব্য সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপি ও সরকারি সূত্র। বিএনপি জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার সকালে লন্ডনে এই সাক্ষাৎ হতে পারে।


রাজনৈতিক মহল এই সাক্ষাৎকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের সাক্ষাৎ ফলপ্রসূ হলে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং জুলাই সনদসহ আরও অনেক বিষয়ে অন্তর্র্বতী সরকার ও বিএনপির যে দূরত্ব বা মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে, সেটা কমে আসতে পারে।


বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, গত মে মাসের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের সময় চূড়ান্ত হয়। বিষয়টি জানার পর তখন থেকেই বিএনপি বিবেচনায় রেখেছিল; প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে কি না।


সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এই সাক্ষাৎ যাতে হয়, এ ব্যাপারে সর্বশেষ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও ভূমিকা রাখেন। পরে দুই পক্ষের ইচ্ছায়, বিশেষ করে সরকারের দিক থেকে বাড়তি আগ্রহে সাক্ষাতের সময় নির্ধারণ হয়। এ বিষয়ে গত সোমবার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়। তাঁরা এই সাক্ষাৎকে দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের জন্য হিতকর হবে বলে মনে করেন।


এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সংবাদ মাধ্যেমকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। তিনি একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত রয়েছেন। আমরা মনে করি, সরকারের প্রধান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎটা হওয়া উচিত এবং এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারেরও অংশ। এই সাক্ষাৎ না হলে নিন্দুকেরা বিরূপ সমালোচনার সুযোগ নিতে পারত।’

বিএনপি সরকার ভোটের ঘোষণা খালেদা জিয়া

এ সম্পর্কিত আরো খবর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

সব খবর

সব খবর

আরো পড়ুন

Logo

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
Email: jugerchinta24@gmail.com

আমাদের কথা যোগাযোগ শর্তাবলি ও নীতিমালা গোপনীয়তা নীতি বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা

অনুসরণ করুন

২০২৫ যুগের চিন্তা ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

ঠিকানা: ২১/বি (৫ম তলা), গার্ডেন রোড, পশ্চিম তেজতুরীবাজার, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫ | যোগাযোগ: +৮৮০১৩৩৯৪০৯৮৩৯, +৮৮০১৩৩৯৪০৯৮৪০ | ই-মেইল: jugerchinta24@gmail.com