
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৪ এএম
জাতীয় নির্বাচন: এপ্রিলে নয়, সময় এগোনো যুক্তিযুক্ত: আতিয়ার পারভেজ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম

এপ্রিলে রাজি করানো। না, ডিসেম্বরে রাজি হওয়া। না-কি আগামী নির্বাচন ডিসেম্বর-এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় নির্ধারণ। এজেন্ডা এই একটাই। আগামী নির্বাচনের সময় আরও এগিয়ে আনার ইঙ্গিত। ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের বৈঠকের আর কোন কারণ নেই। এবং বর্তমান সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত’ বলে অভিযোগ করেছে।
বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়ে আসছে। প্রধান উপদেষ্টা হঠাৎ করেই ঘোষণা দেন এপ্রিলে নির্বাচন। তিনি আগের অবস্থান থেকে দু'মাস এগিয়ে আসেন। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় বিএনপি। ডিসেম্বরেই নির্বাচন আদায়ের পরিকল্পনা সাজায়। বার্তা পেয়ে যায় সরকার। সেনা ও পুলিশের নিরঙ্কুশ সমর্থন নেই সরকারে।
ঈদের দিন পরিস্থিতি বদলে যায়। সেনাপ্রধানের সাথে প্রধান উপদেষ্টার কুশল বিনিময়ের পর। আয়োজন হয় লন্ডন বৈঠকের। ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকের আগেই উচ্ছ্বাস বিএনপিতে। দলটির মহাসচিব বলছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণার পর রাতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে দলের এই অবস্থান চূড়ান্ত করা হয়।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই দীর্ঘ ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বন্দর, করিডরসহ এমন সব বিষয়ে অবতারণা করেছেন, যা তার নিজেরই ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি ‘ম্যান্ডেটের’ মধ্যে পড়ে না।
বিএনপি এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে বেশ কিছু আপত্তি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সময়ে একদিকে আবহাওয়ার সংকট এবং অন্যদিকে রমজানের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা ও কার্যক্রম এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, যা নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এছাড়াও, কেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়নি বলেও বিএনপি অভিযোগ করেছে।
জনগণের হতাশা ও ক্ষোভ বিএনপি দৃঢ়ভাবে বলেছে যে, প্রায় দেড় যুগ ধরে মৌলিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত এদেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য গুম, খুন, জেল-জুলুম, আহত ও নির্যাতিত হয়েও অব্যাহত লড়াই চালিয়ে গেছে।
ভিবিন্ন দলের মতে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার বিপুল আত্মত্যাগের মাধ্যমে তাদের বিজয় অর্জিত হলেও ‘নির্বাচন অনুষ্ঠানে অহেতুক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করছে’।
বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের মতামত অগ্রাহ্য করে নিজেদের নিরপেক্ষতাকেই যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে, তাতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে দেশের জনগণ সঙ্গতভাবেই শঙ্কিত হতে পারে।
সকল রাজনৈতিক দল বরাবরই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছে।