
প্রিন্ট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
ভোটের লড়াইয়ে যুবকদের নেতৃত্ব দিতে হবে : জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম

ছবি- সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলবেন, আর নাগরিকত্বের প্রথম অধিকার ভোট দিতে দেবেন না এটা হবে না। আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেই ভোট তারা স্বচ্ছভাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে দিতে পারে দেশে কিংবা বিদেশ থেকে।’
তিনি বলেন, ‘এবারের ভোটে কোনও কালো শক্তি তাদের হাত দিতে এলে তাহলে জুলাইতে যেভাবে কালো শক্তি বিতাড়িত করা হয়েছে সেইভাবে এখনও মোকাবিলা করবে। এবারের ভোটের লড়াইয়ে যুবকদের নেতৃত্বে হবে।’
সোমবার (৯ জুন) দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে বড়লেখা বাজারে ঈদ পুনর্মিলনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর যারা জাতির ওপর জুলুম করলো এখনও তারা তা অব্যাহত রেখেছে। মাঝেমধ্যে তারা মাথা উঁচু করে, বিভিন্ন কথা বার্তা বলে, তছনছ করে দাও এসব বলে। এগুলোর মাধ্যমে জাতিকে অস্থির করতে চায়, আড়াই বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত খুন করলো, এত কিছুর পর তারা অনুশোচনা করে না, জাতির কাছে মাফ চাইবে না, যা করেছে জাতির কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট- তারপরও লজ্জিত হয়নি, এগুলোর জন্য তাদের অনুতপ্ত হওয়া উচিত। সেইগুলা না করে তারা জাতিকে অস্থির করতে চায়।’
যুবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি যুবকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তোমাদের নেতৃত্বের হাত ধরে বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর জালিমের যাঁতাকলে অতিষ্ঠ হয়েছি, প্রতিবাদ করেছি, আন্দোলন করেছি, ফ্যাসিবাদীদের আমরা বিদায় করতে পারিনি। যুবকরাই সফল হয়েছে। আমরা একটা বিশৃঙ্খল বাংলাদেশ দেখতে চাই না, মানবিক বাংলাদেশ দেখে যেতে চাই। আগামী দিনে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরাই আরও সাহসী ভূমিকা রাখবে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর তোমরা ভোট দিতে পারো নাই। এখনও যাদের বয়স হয়নি, কিন্তু ভোটের আগে যাদের বয়স হয়ে যাবে। সরকারের কাছে অনুরোধ এরাই লড়াই করে অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। যাদের বয়স নির্বাচনের শিডিউলের আগে ১৮ বছর হয়ে যাবে তাদের ভোটাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।’
শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করে জামায়াত আমির বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে। এই শিক্ষা নৈতিক চরিত্রের অধিকারী বানায় না। শিক্ষা অর্জনের পর ফাইল নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে চাকরি পাওয়া যায় না। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদলে দিতে হবে।’