
প্রিন্ট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
আবেগঘন পরিবেশে দেশে ফেরার প্রস্তুতি খালেদা জিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সোমবার (লন্ডন সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে) ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। দলীয় সূত্র জানায়, তার গুলশান-২ এর বাসভবন ‘ফিরোজা’ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নেতাকর্মীরাও।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এসএসসি পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে তিনি নেতাকর্মীদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানজট সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ট্রাফিক কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অভ্যর্থনার প্রস্তুতি, কিন্তু বিধিনিষেধও আছে
খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কাকলী রুট ধরে ‘ফিরোজা’তে যাবে। বিএনপির নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নির্ধারিত স্থানগুলোতে অবস্থান নেবে, তবে কেউ বিমানবন্দর বা বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
কোনো মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বা পায়ে হেঁটে গাড়িবহরের সঙ্গে চলাও নিষিদ্ধ। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে, যানজট এড়াতে বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে।
লন্ডন থেকে যাত্রা, দোহায় বিরতি
খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান। দোহায় বিরতি দিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় পৌঁছাবে।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো এবং যাত্রার জন্য উপযুক্ত।
‘ফিরোজা’ প্রস্তুত, নিরাপত্তা জোরদার
গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসভবন পুরোপুরি প্রস্তুত। বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সংযোগসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা হয়েছে। সিএসএফ সদস্যরা পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবায়দা রহমান
২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে থাকা ডা. জোবায়দা রহমান প্রায় ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন। তিনি থাকবেন তার বাবার ধানমন্ডির ‘মহবুব ভবনে’। বাড়িটিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে একটি চিঠি দিয়ে জোবায়দার নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র প্রহরা, আর্চওয়ে স্ক্যানার এবং পুলিশি উপস্থিতির অনুরোধ জানিয়েছে।