
প্রিন্ট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ছাত্রদের উদ্যোগে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক দল ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ’ (আপ বাংলাদেশ) আগামী শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ৯ মে দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে দলটির যাত্রা শুরু হবে। অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধারা উপস্থিত থাকবেন; সাথে থাকবে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের সংগঠক ও ওই আন্দোলনের অংশীদাররা।
আপ বাংলাদেশের প্রধান উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ কালবেলা জানান, এই আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণার মাধ্যমে দলটির আত্মপ্রকাশ করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, “জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আমরা সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি; এসব লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলবে ইনশাআল্লাহ।”
গত মার্চে ফেসবুকে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আনার প্রথম ঘোষণা দিয়ে সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ দলে নেতৃবৃন্দের বিশ্বাসে উদ্দীপনার সূচনা করেছিলেন। এরপর ১০ এপ্রিল আরেকটি পোস্টে প্ল্যাটফর্মের নাম হিসেবে ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’ ঘোষণা করে নিজেকে এর প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় করান।
নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে পিলখানা, শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, এবং জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী করার দাবিতে জনমত ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা।
দীর্ঘ মেয়াদে এ রাজনৈতিক উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা, সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশের নতুন রূপান্তর সাধন করা। এছাড়া, দলটি রাজনৈতিক পার্থিব শক্তির দাপট, দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে চারটি মূল দুর্বলতা – ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতি – থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে।
এই νέα উদ্যোগ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক আজাদি এবং বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রস্তাবনায় গড়ে উঠেছে, যা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সামাজিক সুবিচারের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।