
প্রিন্ট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৯ এএম
ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত : জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম

বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত
দেশের আবহাওয়া ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আগামী জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিলের মধ্যেই হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (৩ মে) সকালে রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা ও মহানগরী আমিরদের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা দুটি সময়কে নির্বাচন উপযোগী মনে করি— এক, রমজানের আগে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে। দুই, এর পরেও যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারিক পদক্ষেপে জনআস্থা তৈরি না হয়, তাহলে সর্বোচ্চ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচন সম্পন্ন হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, যদি সংস্কার প্রক্রিয়া গতিশীল হয় এবং অংশীজনদের আন্তরিক সহযোগিতা থাকে।
সম্মেলনে তিনি বিগত ১৫ বছরের বিভিন্ন সময়ের ‘গণহত্যা’ প্রসঙ্গে বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা দেশ শাসনের পাশাপাশি ইসলামপন্থিদের ওপর দমন চালিয়েছে। পিলখানা, শাপলা চত্বর ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে চালানো হত্যাকাণ্ড তার প্রমাণ।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, ৫ আগস্টের পর দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। এ সময়ে সহিংসতা এড়াতে জামায়াত আইন নিজ হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল এবং জনসাধারণকেও ধৈর্য ধরতে বলেছিল। তিনি বলেন, আমরা সেদিনই বলেছিলাম— প্রতিকার চাইতে হবে আইনি পথে।
তিনি আরও জানান, সহিংসতায় নিহত ও আহতদের পাশে দাঁড়াতে জামায়াত চেষ্টা চালিয়েছে এবং সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ফেনীর সাম্প্রতিক বন্যাতেও জামায়াত শুরু থেকেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, যেখানে জনগণের দুর্ভোগ, সেখানেই আমাদের সাড়া দেওয়ার চেষ্টা থাকে। আওয়ামী লীগের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছি।
সম্মেলনে তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত কার্যকলাপে জড়িত সরকারের কিছু উপদেষ্টার সমালোচনা করে বলেন, তাদের এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।