
প্রিন্ট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
চার মাসের চিকিৎসা শেষে ৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম

ফাইল ছবি
চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা ও বিশ্রামে কাটিয়ে আগামী সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দলীয় নেতারা জানিয়েছেন, এই সময়ে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি সোমবার ঢাকায় ফিরবেন।
দেশে ফেরার সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সফরসঙ্গী থাকবেন তার দুই পুত্রবধূ—ডা. জোবায়দা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) ও সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী)। আরও থাকছেন—ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, এপিএস মাসুদুর রহমান এবং গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।
সূত্র জানিয়েছে, দেশে ফেরার পর ডা. জোবায়দা রহমান ধানমন্ডিতে তার বাবার বাসায় অবস্থান করবেন।
খালেদা জিয়াকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় আনা হবে। যদিও এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের পূর্ণ সুবিধা থাকছে না, তবে লন্ডনে থাকা চিকিৎসক দল ও পরিবারের সদস্যরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ ও আর্থ্রাইটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হন তিনি। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে শর্ত ছিল বিদেশ না যাওয়া।
গত কয়েক বছরে একাধিকবার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার। অবশেষে গত ৭ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান খালেদা জিয়া। প্রায় এক দশক পর সেখানেই তিনি জ্যেষ্ঠপুত্র তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হন।
লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার লিভার ডিজিজের জন্য ‘টিপস’ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়, হার্টে স্টেন্টিং করা হয় এবং কিডনি ও করোনা-পরবর্তী জটিলতার বিষয়েও চিকিৎসা নেওয়া হয়।
সম্প্রতি ডা. জাহিদ হোসেন জানান, ম্যাডাম বর্তমানে তারেক রহমানের বাসায় আছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত তাকে দেখছেন এবং তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।