
প্রিন্ট: ১৯ জুন ২০২৫, ০১:৪১ এএম
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিল বিএনপির তিন সংগঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম

ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় নির্বাচন ও ভোটের দাবিতে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দেশব্যাপী ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে অংশগ্রহণ এবং সৃজনশীলতার বিকাশের লক্ষ্যে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে।
প্রতিটি অঞ্চলে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার, যার শিরোনাম থাকবে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ।’ এতে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে গণতন্ত্রকামী তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, চিন্তাবিদ, বক্তা ও উদ্যোক্তারা অংশ নেবেন। আলোচনায় কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, নগরায়ণসহ রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নানা বিষয় উঠে আসবে।
এরপর দ্বিতীয় দিনে হবে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’, যার মাধ্যমে তরুণদের ঐক্য ও আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটানো হবে। সংলাপ এবং সমাবেশের ভিত্তি হবে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলসমূহের ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা এবং তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন।
কর্মসূচির সময়সূচি ও বিষয়বস্তু হলো—
প্রথম কর্মসূচি (চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা):
৯ মে সেমিনার (কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন)
১০ মে সমাবেশ (রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা)
দ্বিতীয় কর্মসূচি (খুলনা ও বরিশাল):
১৬ মে সেমিনার (শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার)
১৭ মে সমাবেশ (রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা)
তৃতীয় কর্মসূচি (রাজশাহী ও রংপুর):
২৩ মে সেমিনার (কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা)
২৪ মে সমাবেশ (রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা)
চতুর্থ কর্মসূচি (ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ):
২৭ মে সেমিনার (রাজনৈতিক ভাবনা ও অর্থনৈতিক মুক্তি)
২৮ মে সমাবেশ (রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা)
আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, এই কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে তরুণদের ভাবনা ও মতামত সংগ্রহ করে রাজনৈতিক ও সামাজিক নীতিমালা আরও জনকল্যাণমুখী ও দায়িত্বশীল করা হবে। তিনি জানান, তরুণদের একাগ্রতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।