
প্রিন্ট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:২১ পিএম
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন ডা. তাসনিম জারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৩ এএম

ডা. তাসনিম জারা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারাসহ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানোর পর বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ডা. জারা।
তিনি লেখেন, “গত কিছুদিন ধরে আমার ছবিসহ একটি আইনি নোটিশ গণমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে যে আমি ‘পর্নোগ্রাফিক সংস্কৃতি’ ছড়িয়ে দিচ্ছি। এমন অপবাদ এতটাই হাস্যকর ও অযৌক্তিক যে তা খণ্ডন করাও অনর্থক। তবু কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি—কারণ, নীরবতা অনেক সময় ভুল ব্যাখ্যার জন্ম দেয়।”
ডা. জারা বলেন, “যখন আপনি নিষ্কলুষ মন ও স্বচ্ছ উদ্দেশ্য নিয়ে জনসেবায় এগিয়ে আসেন, তখন ভাবেন আপনার সংগ্রাম হবে ভাবনার, আদর্শের ও স্বপ্নের জায়গায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই আপনার ব্যক্তিত্বকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা চলে।”
তিনি এটিকে চিরাচরিত অপকৌশল বলে আখ্যায়িত করেন এবং জানান, লজ্জা দেওয়ার এই প্রচেষ্টায় তিনি বিভ্রান্ত নন, বরং আরও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
“বছরের পর বছর আমি জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেছি। ফেক পেজ, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করেছি। যারা আজ আমার নামে অপপ্রচার করছে, তারা ভুলে গেছে—মানুষ মনে রাখে কে তাদের পাশে ছিল,” বলেন তিনি।
ডা. জারা আরও বলেন, “আমি জানতাম এই পথ সহজ হবে না, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি—সততা, শালীনতা ও সাহস নিয়ে রাজনীতি করা সম্ভব। যারা ভাবছেন এই নোটিশ আমাকে থামিয়ে দেবে, তাদের জন্য স্পষ্ট বার্তা—
না, আমি পিছু হটছি না। না, আমি গা ঢাকা দিচ্ছি না। না, আমি আপনাদের ফাঁদে পা দিচ্ছি না।
বরং, এই অপপ্রচার আমার মনোবল আরও শক্ত করেছে। কারণ, যখন কোনো কিছুর বিরুদ্ধে কেবল মিথ্যা থাকে, তখন সেটিই প্রমাণ করে সত্য ইতোমধ্যে যুক্তিতে জয়ী।”
প্রসঙ্গত, ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অশ্লীল ও পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট বন্ধে সরকারের কাছে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এই নোটিশে ডা. তাসনিম জারা ও ডা. জাহাঙ্গীর কবিরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।