
প্রিন্ট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৪ এএম
ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলের ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২১ এএম

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আগামী ২৩ এপ্রিল ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ভারতের সংসদে পাশ হওয়া বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫ বাতিলের দাবি এবং ভারতজুড়ে চলমান মুসলিম নিধনের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
শনিবার (১২ এপ্রিল) পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে ভারতজুড়ে মুসলিম নিধন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দলীয় উগ্র হিন্দু জঙ্গিদের মুসলমানদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে। মুসলিমদের ভিটেমাটি, ব্যক্তিগত ও ওয়াকফকৃত সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে সেখানে মন্দির ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করছে। এসব কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে সম্প্রতি ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল ২০২৫ পাশ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতজুড়ে মুসলমানরা এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এটি মুসলিমদের ধর্মীয় আইন এবং অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপ। মুসলিম বিশ্বকে ভারতের মুসলিম নিধন এবং ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”
মাওলানা মামুনুল হক বাংলাদেশের সরকারের নির্লিপ্ততার সমালোচনা করে বলেন, “ভারত সরকার এবং তার মিডিয়াগুলো বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত ভারতের মুসলিম নিধনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কার্যকর অবস্থান নেওয়া।”
নববর্ষ উদযাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জনগণের করের টাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরোধী কার্যক্রমে ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রচলিত বাংলা নববর্ষ মূলত হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা ইসলামী আকীদা ও আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
তিনি আরও বলেন, "মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি সফল করায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারকে দ্রুত গাজা গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। নোবেল বিজয়ী ও পরিচিত ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আহ্বান জানাই, তিনি যেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক পরিসরে জোরালো অবস্থান নেন এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আফজালুর রহমান, সাবেক এমপি মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মিডিয়া সমন্বয়ক মাওলানা হাসান জুনাইদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।