ছবি : সংগৃহীত
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির বড় অংশ চাইলেও একটা অংশ চাচ্ছে তাদের দল জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতায় না যাক। জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়ার বিরোধিতা করে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছেন এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। ২১৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ জন সদস্য ইতোমধ্যে জোট না করতে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে চিঠিও দিয়েছেন।
সব আলোচনা ও বিরোধিতা ছাপিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা অধিকাংশ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে অবশেষে জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনি জোট গঠন ও আসন সমঝোতার দিকেই এগোচ্ছে এনসিপি।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হতে পারে।
জামায়াত ও এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, দল দুটির জোট নিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পথে রয়েছে। জোট হলে তারা কীভাবে কাজ করবে এবং কোন আসনে কে বা কারা প্রার্থী হবেন, কোন দলের কতজন প্রার্থী থাকবে, সেসব বিষয়ে নতুন ঘোষণা আসতে পারে আজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় আসন সমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও ঘোষণা আজকের মধ্যেই আসতে পারে। শুক্রবার রাতেই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। এনসিপিকে ৩০ আসন ছেড়ে দিচ্ছে জামায়াত। নতুন এ দলটি আসন চেয়েছিল ৫৬টি।
এর মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ অন্যান্য জনপ্রিয় কয়েকজন নেতার আসন উল্লেখযোগ্য।
সমঝোতা বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় সদস্য সচিব আখতার বলেন, ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির সঙ্গেই অন্য দলগুলোর মতভিন্নতা পরিলক্ষিত হতো। সেখানে সংস্কারের পয়েন্টগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই এনসিপি, জামায়াত এবং অন্য দলগুলো একমত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সে ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়, দেশটাকে নতুন করে গড়া, নতুনভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে গড়ে তোলার জন্য যে রাজনীতি, সে রাজনীতির প্রতি যে কমিটমেন্ট, সেটাকেই নির্বাচনি রাজনীতিতে জোটের বা সমঝোতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রধানতম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে এটাকে মূল্যায়ন করছি।
গত ২৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেছেন, আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি জোট, আসন ও সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছি। সেই ধারাবাহিকতায় জামায়াতের সঙ্গে হওয়া আলোচনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব যোবায়ের গণমাধ্যমকে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক খবর আসছে, যা সত্য নয়। তবে আট দলের মধ্যে এবং এনসিপিসহ আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই আমরা জানাতে পারব। আসন সমঝোতায় জামায়াতের সঙ্গে আসতে চায়—এমন দলের সংখ্যা এখন ১২টি হতে পারে বলে তিনি জানান।



