গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটে ফাটল
বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে মতবিরোধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এ ফাটল দেখা দিয়েছে। বড় দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে অংশীদারদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। জোটের নেতারা সতর্ক করে বলছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে জোটের অস্তিত্বই এখন ঝুঁকিতে আছে।
গত ৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা এই জোটে সংকট দেখা দিয়েছে মাত্র ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পাঁচ দিন আগে। এনসিপি ও এবি পার্টি বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার পক্ষে থাকলেও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এতে আপত্তি জানিয়েছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, আমরা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করছি। এবি পার্টির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও এনসিপি যদি নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছায়, তবে তাদের দল যেকোনো বড় দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে রাজি।
তবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে নারাজ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া বলেন, সোমবার রাতে এনসিপি আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছে। আমরা বিএনপি বা জামায়াত—কারও সঙ্গেই আসন ভাগাভাগিতে রাজি নই। যদি এনসিপি অন্য কোনো জোট বা দলের সঙ্গে সমঝোতা করে, তবে এই জোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যাবে।
জোটের সূত্র জানায়, এনসিপি বিএনপি ও জামায়াত—উভয় দলের কাছেই অন্তত ২০টি করে আসন চেয়েছে। তবে বিএনপি ৬–৭টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয়। অন্যদিকে জামায়াত প্রায় ৩০টি আসন দিতে প্রস্তুত। এনসিপি বিশেষভাবে বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে আগ্রহী।
সূত্র আরও জানায়, বিএনপির কাছে ঢাকা-৯, ১০ ও ১১ আসন চেয়েছে এনসিপি। তবে এসব আসনে বিএনপি ইতিমধ্যে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, ফলে আলোচনা এখনো চলমান। সারোয়ার তুষার বলেন, সার্বিক বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করি শিগগিরই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
উল্লেখ্য, জোট গঠনের পর গত ১০ ডিসেম্বর এনসিপি ১২৫টি আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল।



