৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের স্মরণে তারেক রহমানের বার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১১ এএম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন, যেদিন দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ পেশাগত দায়িত্ব ও শপথ ভঙ্গ করে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন এরশাদ, যা গণতন্ত্র হত্যার সামিল ছিল। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে সাংবিধানিক রাজনীতির ভিত্তি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্থাপন করেছিলেন, স্বৈরশাসক এরশাদ সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া টানা নয় বছর দৃঢ়তার সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তির মুখে পতন ঘটে স্বৈরাচারের।
সমসাময়িক রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, সেই মুক্ত গণতন্ত্রের চেতনায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জনগণ আবারও একটি ‘হিংস্র ফ্যাসিবাদী শক্তিকে’ পরাজিত করেছে। তাঁর দাবি, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে গণতন্ত্রের শত্রু, এবং শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অবসানের পর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরুজ্জীবনে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দীর্ঘ নির্যাতনের ফলে তাঁর জীবন এখন সংকটাপন্ন। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন সময় নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীদের কথা স্মরণ করেন।
স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত যারা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছেন, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অংশ নেওয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী পরাজিত শক্তির যেন পুনরুত্থান না ঘটে, সে জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।



