চব্বিশোত্তর বাংলাদেশের প্রধান শিক্ষা হলো পরিবর্তন: সালাহউদ্দিন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “চব্বিশোত্তর বাংলাদেশের প্রধান শিক্ষা হলো পরিবর্তন।” তিনি নতুন প্রজন্মের ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, একটি মেধা, জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে সমাজের প্রতিটি স্তরে দায়িত্বশীলতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে ‘চব্বিশোত্তর বাংলাদেশে তারুণ্যের ভাবনায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো গবেষণাধর্মী ও মুক্তবুদ্ধির চর্চার কেন্দ্র। আমাদের খাতভিত্তিক গবেষণাকে জোরদার করতে হবে এবং কর্মমুখী ও সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। শুধু নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নয়, শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রয়োগেও পরিবর্তন আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। শুধু সরকারের ওপর নির্ভর না করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজ উদ্যোগে কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই অভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ। এখন প্রয়োজন মানসিক সংস্কার, যা ছাড়া আইনি সংস্কার সম্ভব নয়। গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী আইনি কাঠামোতে রূপান্তর করতে হবে।”
জুলাই সনদ নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আদেশ ও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি কাঠামো দিতে পারেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ তা বাতিলের দাবি তুলতে না পারে।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিগত সরকারের অবহেলায় শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করে গড়ে তোলার।”
স্বাগত বক্তব্যে ইউট্যাবের মহাসচিব ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, “শিক্ষা হতে হবে জ্ঞানভিত্তিক, চাহিদানির্ভর এবং বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারিগরি ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।”
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রোভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ইউট্যাবের নেতা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ভিসি-প্রোভিসি, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী নেতারা।



