১৮ বছর পর নিয়মিত করদাতা হিসেবে ফিরছেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫১ এএম
বেগম খালেদা জিয়া
দীর্ঘ ১৮ বছর পর সচল ব্যাংক হিসাব থেকে নিয়মিত করদাতা হিসেবে আগামী সপ্তাহে আয়কর পরিশোধ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এবার তিনি অন্যান্য করদাতার মতোই এ চালান ব্যবস্থার মাধ্যমে কর জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান।
তিনি জানান, ২০০৮ সাল থেকে খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকায় করের অর্থ চেকে জমা দিলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সেই চেকগুলো নগদায়ন করেনি। বিভিন্ন অজুহাতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় অর্থ ফেরত গেছে। এটা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চক্রান্ত, বলেন আইনজীবী আজম খান।
বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী এবার খালেদা জিয়া অনলাইনে নির্ধারিত কোডে এ চালান-এর মাধ্যমে কর জমা দেবেন। চলতি করবর্ষে তার আয়, ব্যয় ও সম্পদ আনুমানিক ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টাকা এবং করের পরিমাণ ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে।
২০০৭ সালের শেষ দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রীসহ শতাধিক ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। শেখ হাসিনার হিসাব পরে সচল হলেও খালেদা জিয়ার হিসাব ১৭ বছর নিষ্ক্রিয় ছিল। ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বিষয়টি সমাধান করে তার ব্যাংক হিসাব সচল করেন।
এর পরের মাসেই খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ২০০৭-০৮ করবর্ষ থেকে সব বকেয়া মিলিয়ে প্রায় ৪ কোটি টাকা এককালীন পরিশোধ করা হয়। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের করখেলাপি তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, খালেদা জিয়া করখেলাপি হলে তার ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকত। সরকার খতিয়ে দেখে সব হিসাব সচল করেছে। আশা করি তিনি নিয়মিত কর পরিশোধ করবেন।
অন্যদিকে সর্বশেষ হালনাগাদ করখেলাপি তালিকায় নতুনভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম যোগ হয়েছে বলে এনবিআর সূত্র জানিয়েছে।
খালেদা জিয়ার আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার আয় আসে গুলশানের বাড়ির ভাড়া, ব্যাংক হিসাবের সুদ, প্রয়াত স্বামী জিয়াউর রহমানের পেনশন ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে।
২০১৪-১৫ করবর্ষে তিনি ৮৯ লাখ ৩২ হাজার টাকা আয় দেখিয়ে ২৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা কর পরিশোধের চেক জমা দিয়েছিলেন, আর ২০১৩-১৪ করবর্ষে আয় দেখান ৭৭ লাখ টাকা, কর পরিশোধের জন্য জমা দেন ২১ লাখ টাকার চেক।



