গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে রাজপথে নামিয়েছিলেন: রিজভী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের তরুণ প্রজন্মকে রাজপথে নামিয়ে ইতিহাস গড়েছেন।
তিনি বলেন, “জাতীয়তাবাদী পতাকা হাতে নিয়ে রক্তপিপাসু শেখ হাসিনাকে পরাজিত করতে তারেক রহমান যে পটভূমি রচনা করেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।”
রিজভী আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়ার পর তারেক রহমান নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রবাসে থেকেও সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছেন এবং তরুণদের গণতন্ত্রের সংগ্রামে সম্পৃক্ত করেছেন। “তার নেতৃত্বের উদাহরণ নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাবে,” বলেন তিনি।
এ সময় বরগুনা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির নেতাদের নাম উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “এই নেতারা আন্দোলনে আপসহীন ছিলেন, পুলিশের নির্যাতনের মধ্যেও রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। তাদের নেতৃত্বে সংগঠন আদর্শিক রূপ পাবে, সমাজবিরোধীরা আশ্রয় পাবে না।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নতুন নেতারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে, আর সেই আস্থার ভিত্তিতেই মানুষ ধানের শীষে ভোট দেবে।”
রিজভী অভিযোগ করেন, “গত ১৬ বছর ধরে বিএনপির সংগ্রাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। আগের সরকার খালেদা জিয়াকে দমন করতে চেয়েছে, কিন্তু তার মনোবল ও নেতৃত্ব দমিয়ে রাখা যায়নি।”
তিনি শেখ হাসিনাকে “ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের প্রতীক” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, ভোটাধিকার হরণ করেছেন।”
রিজভী আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ নানা ষড়যন্ত্র, মাস্টার প্ল্যান ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে। ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচারকারীরা কীভাবে দুঃশাসন বজায় রেখেছে, তা প্রশ্নের বিষয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। নিউইয়র্ক, লন্ডন, দুবাই, কানাডা, অটোয়া ও সিডনিতে তাদের সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে।”
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, “যদি আরও দক্ষতা দেখাত, নিউইয়র্কে ফ্যাসিবাদের দোসররা সাহস করে অপকর্ম চালাতে পারত না।”
দুদকের অকার্যকারিতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, “আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ২৪ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা উদ্ধারে তারা ব্যর্থ হয়েছে।”
আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “ওয়াসিম আকরাম, আবু সাঈদ, মুগ্ধর রক্ত বৃথা যাবে না। তাদের আত্মত্যাগ গণতন্ত্রের লড়াইয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।”



