একীভূতের পথে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ ও আপ বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–র সঙ্গে একীভূত হতে যাচ্ছে গণঅধিকার পরিষদ এবং ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। দল তিনটির মধ্যে ইতোমধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শেষ হলেও, শীর্ষ নেতৃত্ব ও কাঠামো নিয়ে এখনো দর-কষাকষি চলছে।
বর্তমানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ও সদস্যসচিব আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ। আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস ও আদর্শিক মিল থাকায় তাদের মধ্যে বহু দিন ধরেই একীভূতের আলোচনা চলছিল।
সূত্র জানায়, একীভূত হলে দলটির প্রধান হিসেবে থাকবেন নাহিদ ইসলাম। অন্যদিকে নুরুল হক নুরকে রাখা হতে পারে দ্বিতীয় অবস্থানে বা একটি সম্মানজনক পদে। প্রস্তাব এসেছে ১০ সদস্যের একটি শীর্ষ নেতৃত্ব পর্ষদ গঠনের—যেখানে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি থাকবেন। এ পর্ষদই নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে।
তবে নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে এনসিপির অবস্থান কঠোর। যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, আমরা চাই অন্যরা এনসিপির সঙ্গে যুক্ত হোক, তবে নাম পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই। সূত্র মতে, একীভূত হলেও দলটি ‘এনসিপি’ নামেই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আলোচনা সব সময় হয়। এনসিপির অনেকেই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় থেকে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার কারণেই এখন দেশ-জাতির কল্যাণে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আগামী নভেম্বরের মধ্যে প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে নেতৃত্ব ও কাঠামোগত সমঝোতার ওপর।
এরই মধ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারে এনসিপি সম্প্রতি রাজধানীতে সারা দেশের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৃহৎ বৈঠক করেছে। সেখানে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। বৈঠকে দলীয় আদর্শ, সাংগঠনিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরা হয়।



