জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে আজ ঢাকায় পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি রাজনৈতিক দল। অন্যান্য দলগুলো হলো— ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), খেলাফত আন্দোলন ও নেজামে ইসলাম পার্টি।
অভিন্ন দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন, সংসদের উভয় কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, বর্তমান সরকারের জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী। এতে দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
একইদিন বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। বাদ আসর একই স্থানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে।
এ ছাড়া বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রাশেদ প্রধানের নেতৃত্বে জাগপা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টায় খেলাফত আন্দোলন এবং বিকেল ৩টায় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ মিছিল করবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, এই দাবিগুলো জনগণের রক্তের দামে অর্জিত ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ রক্ষার শপথ। তাই আন্দোলনে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে হবে। সফল বিক্ষোভের মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়নে জনমত গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যে কারও খেয়ালিপনা জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।
একই দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশের জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। তবে সেদিন বিসিএস পরীক্ষা থাকায় সকালবেলা বিক্ষোভ মিছিল না করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।



