রাকসু নির্বাচনে নজিরবিহীন নারী অংশগ্রহণ: ভিপি-জিএসসহ বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের উপস্থিতি এবারের মতো আর কখনো দেখা যায়নি। মোট ৩৪ জন নারী শিক্ষার্থী বিভিন্ন পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়াও ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরাও রয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, রাকসুর ইতিহাসে নারী অংশগ্রহণের এই ধারা রাজনীতিতে তাদের নেতৃত্ব ও সক্রিয় ভূমিকা আরও শক্তিশালী করবে।
ভিপি ও জিএস পদে নারী প্রার্থী
ভিপি পদে একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাসিন খান (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ), যিনি সিনেট সদস্য পদেও লড়ছেন। জিএস পদে রয়েছেন পরমা পারমিতা (২০১৮-১৯), নুসরাত জাহান নুপুর (২০১৯-২০), আছিয়া খাতুন (২০১৯-২০) ও আফরিন জাহান (২০১৮-১৯)।
সম্পাদকীয় পদে নারী প্রার্থীরা
এজিএস: জান্নাত আরা নওশিন (২০২১-২২) ও ছাত্রদল সমর্থিত জাহিন বিশ্বাস এষা (২০২০-২১)
ক্রীড়া সম্পাদক: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ছাত্রদল সমর্থিত নার্গিস খাতুন (২০১৯-২০)
সাংস্কৃতিক সম্পাদক: সারাফ আনজুম বিভা (২০২১-২২)
মহিলাবিষয়ক সম্পাদক: আবিদা আক্তার লাবণী (২০২১-২২), ছাত্রদল সমর্থিত মোছা. স্বপ্না আক্তার (২০১৮-১৯), শিবির সমর্থিত সাইয়িদা হাফছা (২০১৯-২০), মোছা. সুমাইয়া মুস্তারিন মুন (২০১৯-২০), হেমা আক্তার ইভা (২০১৮-১৯), সামসাদ জাহান (২০১৯-২০) ও মোছা. নিশা আক্তার (২০২০-২১)
সহকারী সম্পাদক (মহিলাবিষয়ক) পদে ৯ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন হাসনাহেনা বর্ষা, নুসরাত জাহান অহনা, নাদিয়া হক, জান্নাতুল ফেরদৌসি তৃষা জান্নাত, শ্রেয়সী রায়, শিবির সমর্থিত সামিয়া জাহান, ফারহিন শবনম শায়ন্তি, নূসরাত আফরিন ও ছাত্রদল সমর্থিত নূসরাত ঈষিতা।
এছাড়া সহকারী সম্পাদক (পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ) পদে রয়েছেন মোছা. ইশিথা পারভিন তিথি ও শিবির সমর্থিত মাসুমা ইসরাত মুমু। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন তামান্না আক্তার, মোছা. জান্নাতুন নাঈম তুহিনা, ইউষা জান্নাত সোহা, রেনেসা রাত্রী ও তাহরিমা আক্তার।
শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও প্রার্থীদের অঙ্গীকার
শিক্ষার্থীরা বলছেন, এত বিপুল সংখ্যক নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে শুধু বৈচিত্র্যময় করছে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে নারীর নেতৃত্ব ও নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণকে আরও সুদৃঢ় করছে।
জিএস প্রার্থী নুসরাত জাহান নুপুর বলেন, রাকসু যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে পরিচালিত একটি গণতান্ত্রিক মঞ্চ, তাই আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করতে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমার লক্ষ্য ক্যাম্পাসকে নিরাপদ ও ছাত্রবান্ধব করে গড়ে তোলা।
ভিপি প্রার্থী তাসিন খান বলেন, সাইবার বুলিংয়ের কারণে অনেক নারী শিক্ষার্থী আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও প্রার্থী হতে পারেননি। যদিও পাঁচ সদস্যের একটি সাইবার টিম গঠন করা হয়েছে, তাদের কার্যক্রম স্পষ্ট নয়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, নির্বাচিত হলে আগামী এক বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করবেন।



