ডাকসু নির্বাচন
চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার: উৎসবমুখর পরিবেশ, উদ্বেগ-অভিযোগও সমানতালে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচার এখন পুরোদমে চলছে। প্রার্থীরা রুটিন করে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। পরিবেশ উৎসবমুখর হলেও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগও থেমে নেই।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ক্যাম্পাসে সরব প্রচার চালান বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা। দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান সরকারের কার্যকর ভূমিকা কামনা করে বলেন, ডাকসু নির্বাচন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়লে জাতীয় নির্বাচনও ঝুঁকির মুখে পড়বে। তিনি কমিশনের দুর্বলতা ও সাইবার বুলিং মোকাবিলায় প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে শিবিরসমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারীদের পরিণতি শেখ হাসিনার সরকারের থেকেও খারাপ হবে।
ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামীম প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচিত হলে গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি আর ফিরবে না। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার বলেন, ২০১৯ সালের মতো কারচুপি হলে শিক্ষার্থীরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করবেন।
এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ, ভোট ফর চেঞ্জ’** প্যানেল ১৪ দফা এবং সমন্বিত শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল ২৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে। আলাদা উদ্যোগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল ইশতেহারও প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবং শিক্ষকদের নিয়ে স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক প্যানেল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা থেকে টানা ৩৪ ঘণ্টা সাধারণ মানুষের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।



