বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তারেক রহমানের শুভেচ্ছা, মব সংস্কৃতি অবসানের আহ্বান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৯ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (৩১ আগস্ট) লন্ডন থেকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই শুভেচ্ছা জানান এবং দেশজুড়ে চলমান মব সংস্কৃতির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী আদর্শে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের সুরক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পরপরই একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় এবং আওয়ামী শাসনামলে সহিংসতা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও দুর্ভিক্ষ সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়। শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করেন এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপি বিগত ৪৭ বছরে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান ও দলীয় শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ৯ বছরের সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তার ভূমিকা ইতিহাসে উজ্জ্বল অধ্যায়। ১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তনের মাধ্যমে বিএনপি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির আদর্শিক ভিত্তি উদারনীতি এবং দলটি ক্ষমতায় থাকাকালে সামাজিক নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছে। ফলে দেশীয় অর্থনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে শুরু করে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য বিএনপির উদ্যোগে দেশে আর দুর্ভিক্ষ হয়নি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রেখে বিএনপি ভবিষ্যতেও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এখনও হয়নি। আইনের শাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে জনগণের নির্বাচিত জবাবদিহিমূলক সরকার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গত দেড়যুগের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে, যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, সুশাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। সেই সঙ্গে তিনি দেশজুড়ে গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নারী-শিশু নির্যাতন, দুর্নীতি ও মব সংস্কৃতির অবসানের দাবি জানান। তার মতে, এই হিংসাত্মক আচরণ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং আইনের বাইরে চলে যায়।
তারেক রহমান বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।



