ওষুধশিল্পে অস্থিরতা সরকারের একপেশে নীতির ফল: মির্জা ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
দেশের ওষুধশিল্পে অস্থিরতা ও ঝুঁকির জন্য সরকারের অস্বচ্ছ ও একপেশে নীতিনির্দেশনাকে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে তিনি জানান, প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘদিন ধরে ওষুধের মূল্য সমন্বয়ও করা হয়নি। এতে শিল্পে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে এবং ট্রিপস ওয়েভার সুবিধা হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গঠিত ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ তালিকা প্রণয়নকারী টাস্কফোর্স এবং ডিসিসির টেকনিক্যাল সাব-কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি, যা শিল্পের স্বার্থবিরোধী।
তিনি বলেন, ওষুধশিল্পের নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে সমাধান খোঁজা উচিত। শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনো কমিটি গঠন বা নীতিনির্ধারণ গ্রহণযোগ্য নয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প দেশের অর্থনীতি, জনস্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের চাহিদার প্রায় শতভাগ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় এবং ১৬০টিরও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে। এপিআই উৎপাদনেও দেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বিএনপির শাসনামলে ওষুধশিল্পের উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৯৪ সালে মূল্যনীতি প্রণয়ন, ২০০২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি হালনাগাদ, ২০০৩ সালে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ শক্তিশালীকরণ, ট্রিপস ছাড়ের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাশ্রয়ী জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন, রফতানি প্রণোদনা এবং গবেষণায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। তাই দ্রুত নতুন ওষুধ নিবন্ধন শুরু করা জরুরি। বিএনপি আশা করে, সরকার শিল্পের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে।



