নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিল বিএনপি-জামায়াত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
২০২৪ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দল দুটির প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, জামায়াতের আয় বিএনপির প্রায় দ্বিগুণ এবং ব্যয় পাঁচগুণের বেশি।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হিসাব বিবরণীতে দেখা যায়, দলটির মোট আয় হয়েছে ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ২৯৯ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ২৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৭ টাকা। অন্যদিকে বিএনপি জানিয়েছে, তাদের আয় হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে চার কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২৩ টাকা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানান, দলের আয়ের প্রধান উৎস ছিল সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই ও পুস্তক বিক্রি, ব্যাংক সুদ এবং এককালীন অনুদান। ব্যয়ের বড় অংশ গেছে রাজনৈতিক কর্মসূচি, প্রচার সামগ্রী মুদ্রণ এবং দুর্যোগকালীন সহায়তায়।
জামায়াতের হিসাব অনুযায়ী, দলটি কর্মী ও সদস্যদের চাঁদা থেকে আয় করেছে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ১৬২ টাকা। কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের চাঁদা বাবদ আয় ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৯ টাকা। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান থেকে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৯ টাকা। দলীয় প্রকাশনা ও বই বিক্রি থেকে আয় ৯ লাখ ১১ হাজার ২৯০ টাকা এবং অন্যান্য চাঁদা থেকে আয় ৭ লাখ ২১ হাজার ৭৯ টাকা। আগের বছরের স্থিতি ছিল ১০ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৯১ টাকা।
ব্যয়ের খাতে দেখা যায়, কর্মীদের বেতন-ভাতা ও বোনাসে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৭৩ টাকা। আবাসন ও প্রশাসনিক ব্যয় ২ কোটি ৬৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা। ইউটিলিটি বিল পরিশোধে ব্যয় ২ লাখ ৪৬ হাজার ১৮ টাকা এবং ডাক, টেলিফোন, ইন্টারনেটসহ অন্যান্য যোগাযোগ খাতে ব্যয় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৬ টাকা। আপ্যায়নে ব্যয় হয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬২ টাকা।
প্রচারণা ও পরিবহন খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ৫৬৩ টাকা, যাতায়াতে ১ কোটি ২৭ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা এবং জনসভা ও ঘরোয়া বৈঠকে ব্যয় হয়েছে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৫ টাকা। প্রার্থীদের অনুদান দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪২০ টাকা। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যয় ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৫০ টাকা এবং অন্যান্য ব্যয় ১ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৯৮৯ টাকা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, জামায়াতের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি বছর জুলাইয়ের মধ্যে আগের বছরের আর্থিক প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।



