'নির্বাচনের জন্য সংস্কার, বিচার ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে'
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। তবে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের পূর্বেই দৃশ্যমান সংস্কার, বিচার এবং সমতাভিত্তিক নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫ আগস্ট বহুল প্রত্যাশিত জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছে। কিন্তু এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষিত হয়েছে বলে মনে করেন নেতারা। তারা বলেন, ঘোষণাপত্রের ১৩তম দফায় এক-এগারো সরকার ও ২০০৮ সালের পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি। ১৭তম দফায় অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার উল্লেখ করা হয়েছে, যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লিখিত সংখ্যার চেয়ে অনেক কম।
নেতারা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে আলেম-উলামা ও ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে দমন-পীড়ন এবং ২০২১ সালে মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ২১ জন নিহত হওয়ার মতো ঘটনাগুলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের বীজ বপন করেছিল। অথচ এসব ত্যাগ ও সংগ্রামের কথা ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। নেতারা মনে করেন, এসব সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত না হলে ঘোষণাপত্রটি হবে অপূর্ণাঙ্গ, অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি এবং জাতির জন্য হতাশাজনক।
বৈঠকে নেতারা বলেন, গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন। কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সমতাভিত্তিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। একইসঙ্গে জনআকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ এবং পরিচালনা করেন মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুর রহমান ফিরোজ, আবু তানজিম, ডা. রিফাত মালিক, শায়খুল ইসলাম, তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মো. জিল্লুর রহমান, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, আজিজুল হক, সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, নুর হোসেন, মো. আবুল হোসেন, আজীজুল হক, আমির আলী হাওলাদার, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।



