কক্সবাজারে যাওয়া ছিল জুলাই ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে আমার নীরব প্রতিবাদ: হাসনাত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৪৮ পিএম
ছবি : হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক বিস্ফোরক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, বিমানবন্দর থেকে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি ও ভিডিও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সংগ্রহ করে কিছু মিডিয়ার হাতে তুলে দিয়েছে। এরপর সেই মিডিয়াগুলো ক্রাইম মুভির মিউজিক জুড়ে দিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্যসহ ভিডিও প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার এনসিপির শোকজের জবাবে হাসনাত বলেন, “এই পুরো ঘটনা ছিল আমার নীরব প্রতিবাদ—একটি অসম্পূর্ণ জুলাই ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে।” তিনি জানান, ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় জানতে পারেন, অভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের অনেককেই অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। “এটা শুধু রাজনৈতিক নয়, নৈতিক ব্যর্থতা,” বলেন তিনি।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে কক্সবাজার সফরের কারণে এনসিপি পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। হাসনাত জানান, তিনি আগেই দলের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করেছিলেন যে তিনি ব্যক্তিগত সফরে যাচ্ছেন। এরপর দলের অন্যান্য সদস্যরাও তার সঙ্গে যুক্ত হন।
তিনি আরও বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা ও কিছু মিডিয়া আমাদের পদক্ষেপকে অপরাধপ্রবণ হিসেবে তুলে ধরেছে। এমনকি গুজব ছড়ানো হয়েছে যে আমরা পিটার হাসের সঙ্গে গোপন বৈঠকে যাচ্ছি গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে—যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, কারণ তিনি তখন বাংলাদেশেই ছিলেন না।”
বিশেষভাবে তাসনিম জারার বিরুদ্ধে পরিচালিত কুরুচিপূর্ণ স্লাটশেইমিংয়ের নিন্দা জানিয়ে হাসনাত বলেন, “শুধুমাত্র নারী হওয়ার কারণে তাকে ঘিরে অশালীন প্রচারণা চালানো হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করার একটি সুস্পষ্ট প্রয়াস।”
তিনি দাবি করেন, “পার্টির উচিত ছিল গোয়েন্দা সংস্থা ও অসৎ মিডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া। কিন্তু শোকজের ভাষা উল্টো ষড়যন্ত্রতত্ত্বকে উসকে দিয়েছে।”
এই ঘটনার পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এনসিপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং রাষ্ট্রীয় সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।



