উচ্চকক্ষের গঠন ও বাস্তবায়ন নিয়ে এনসিপির অবস্থান, সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির দাবিতে জোর
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন পদ্ধতি এখনও পরিষ্কার নয়, ফলে একটি অস্পষ্টতা থেকেই যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঐকমত্য সংলাপের বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আখতার বলেন, “আমরা চাই কমিশন ও অধ্যাপক আলী রীয়াজ স্যারের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে খোলামেলা ও কার্যকর আলোচনা হোক। কমিশনের নির্ধারিত সময়সীমা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি—এটি অবিলম্বে কার্যকর দেখতে চাই।”
তিনি জানান, আজকের আলোচনায় সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও মহাহিসাব নিরীক্ষক সংক্রান্ত বিষয় উঠে এসেছে। কিছু দল ভিন্নমত পোষণ করলেও, সার্বিকভাবে কমিশন ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
আলোচনার শেষভাগে উচ্চকক্ষের গঠনপ্রণালী নিয়েও কথা হয়। কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, ১০০ আসনের একটি উচ্চকক্ষ গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রতিনিধিরা পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন। কমিশনের প্রস্তাবে সংবিধান সংশোধনে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলা হলেও, এনসিপি এর পরিবর্তে টু-থার্ডস মেজরিটির দাবি জানায়।
আখতার হোসেন বলেন, “সারা বিশ্বে এফপিটিপি ও পিআর উভয় পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বৈধতা রয়েছে। যারা এক শতাংশ ভোট পেলেও তারা যেন একজন করে উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি দিতে পারেন—এটি গণতন্ত্রকে আরও বিস্তৃত করবে।”
তিনি আরও বলেন, “একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সংবিধান পরিবর্তনের প্রক্রিয়া যেন উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারসাম্যপূর্ণ হয়। আইন পাসের আগে উচ্চকক্ষে সমালোচনা ও বিশ্লেষণের সুযোগ থাকবে, যা সংসদের বাইরেও আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করবে।”
আখতার বলেন, “আমরা চাই রাজনীতি যেন সংঘাত ও দলীয় আধিপত্য থেকে বেরিয়ে নীতিনির্ভর ও সংলাপনির্ভর পথে পরিচালিত হয়। উচ্চকক্ষে বহুদলীয় অংশগ্রহণ থাকলে এমন পরিবেশ গড়ে উঠবে।”



