
প্রিন্ট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ এএম

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম

বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচিকে সামনে রেখে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় সিনিয়র নেতাকে আমন্ত্রণ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি অডিটোরিয়ামে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি সভা চলছিল। এ সময় আমন্ত্রণ না পেয়ে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু নিজ উদ্যোগে সভায় যোগ দেন। সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান ও তার আত্মীয়দের কটূক্তির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ করেন।
মিন্টু বলেন, ‘আমি কোনো আমন্ত্রণ পাইনি। তবুও সকাল সাড়ে ১০টায় সভায় উপস্থিত হই। সেখানে গেলে শরীফ হান্নান ও তার ভাইয়ের ছেলে জসিম শরীফ আমার সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আমার কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সভা শেষ করে যাওয়ার সময় তার কর্মী ও পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. রমজানকে একা পেয়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান দাবি করেন, ‘এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা। সভা চলাকালে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে আমার দুই-তিনজন কর্মীকে মারধর করেছে।’
সংঘর্ষে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জসিম শরীফ-এর বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।’
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আগ মুহূর্তে দলের অভ্যন্তরীণ এই ধরনের দ্বন্দ্ব বিএনপির মাঠের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।