
প্রিন্ট: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৭ এএম
বিজয় মিছিলে সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২৫, ১১:১৮ এএম

ছবি : সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় বড় আকারে সমাবেশ করলেও পাল্টা কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে না বিএনপি। দলটি মনে করছে, পাল্টা সমাবেশে প্রতিপক্ষকে গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং নিজেদের অবস্থান দুর্বল দেখাতে পারে। দলীয় নেতারা বলছেন, বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি ও জনপ্রিয়তা নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই, বরং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রমই তাদের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ আগস্ট ঢাকায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সর্ববৃহৎ বিজয় মিছিল আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। এটি মহাসমাবেশে রূপ দেওয়ার সম্ভাবনা আছে, যা ঢাকায় অতীতের যেকোনো রাজনৈতিক সমাবেশকে ছাপিয়ে যাবে বলে দাবি দলের। বিজয় মিছিলের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি এবং নির্বাচনকে ঘিরে আশঙ্কিত পরিকল্পনাগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান জানান দিতে চায় তারা।
জামায়াতের সর্বশেষ সমাবেশকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠলেও বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “জামায়াতে ইসলামী শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছে—এটা রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। এর পাল্টা কিছু আমাদের পরিকল্পনায় নেই।”
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিএনপি ও জামায়াত পৃথক রাজনৈতিক পথ অনুসরণ করছে। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তারা জামায়াতের সঙ্গে কোনো নির্বাচনী জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে না। বিএনপি বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে ভোট চায়, যেখানে জামায়াত প্রো-পিআর পদ্ধতিতে সমাবেশ করে আলাদা জোট গঠনে তৎপর রয়েছে।
বর্তমানে বিএনপি ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া ৩৬ দিনব্যাপী গণঅভ্যুত্থান স্মরণ কর্মসূচি পালন করছে। এর অংশ হিসেবে—
২২ জুলাই পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভা
২৩ জুলাই মহিলা দলের অনুষ্ঠান
২৮ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম
২ আগস্ট পথনাটক ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ
৩ আগস্ট ছাত্রসমাবেশ
৪ আগস্ট যুবদলের শ্রদ্ধা প্রদান অনুষ্ঠান
৬ আগস্ট কেন্দ্রীয় বিজয় মিছিল
তবে বিজয় মিছিল একাধিক জায়গায় হবে, নাকি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বিশাল সমাবেশে রূপ পাবে—সে বিষয়ে প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলটি আশা করছে, দিনটিতে ঢাকায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল জানিয়েছেন, কর্মসূচিগুলোর ধারাবাহিকতা চলবে এবং বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে শিগগিরই প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হবে।