
প্রিন্ট: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
১৭ বছর পর ক্ষমতা পাইছি, আমার কথায় থানার ওসিরা উঠাবসা করে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
-6867bbf5cdb80.jpg)
ছবি-যুগের চিন্তা
তোমার বাড়িতে দুইদিন পুলিশ এসেছে, এটাই বেশি। আর কোনোদিন পুলিশ আসবে না,মামলাও হবে না। কেমন করে চলাফেরা করো,দেখা যাবে। ১৭ বছর পর ক্ষমতা পাইছি,আমার কথায় থানার ওসিরা উঠাবসা করে। এলাকার সব কিছু এখন আমরা দেখবো। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে এইভাবেই এক নারীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিন্নাটি ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লার বিরুদ্ধে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কুট্টাঘরের বড়বাড়ির বাসিন্দা ভুক্তভোগী দুলাল মিয়া ও তার স্ত্রী শরীফা আক্তার শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শরীফা আক্তার বলেন, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মিয়া এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় রাতের আঁধারে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। আমার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়। পরিবারের সদস্যদের ঘরের ভেতর জিম্মি করে রাখে এবং আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লা বিষয়টি ‘সামাজিকভাবে’ মীমাংসার আশ্বাস দেন। পরে তিনি তা পালন না করে, উল্টো হুমকি দিতে থাকেন। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমানে আমাদের রাস্তায় চলাচলে বাধা দিচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শরীফা আক্তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে বলেন, একটি অসহায় পরিবার হিসেবে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কেউ যেন মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে এভাবে নির্যাতনের শিকার না হয়, সে জন্যই আমি সবার কাছে ন্যায়বিচার কামনা করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিন্নাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, হোসেন আওয়ামী লীগের লোক নয় সে বিএনপির লোক। মূলত এই মহিলাই (শরীফা আক্তার) ইয়াবার ব্যবসা করেন। আমি মূলত মধ্যস্থতাকারী, বিষয়টি মিমাংসা করতে চেয়েছি। এখন দেখতেছি মধ্যস্থতাকারী হয়ে আমিই বিপদে পড়তেছি।