শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের চপই মোহনপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয় । নিহত ইমরান হোসাইন একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দেড় বছরের এক সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন গার্মেন্টস কর্মী ইমরান। তার বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলির স্প্লিন্টার ছিল। শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড ব্যথার একপর্যায়ে মারা যান তিনি। নিহত ইমরান হোসাইনের চাচাতো ভাই মো. রাকিব মিয়া বলেন, প্রায় ৭ বছর ধরে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন ইমরান। সেখানে স্ত্রীসহ দেড় বছর বয়সী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত বছরের ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এসময় ইমরানের বুক, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলি লাগে। এমতাবস্থায় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি বলেন, শরীর থেকে চিকিৎসকরা কিছু ছররা গুলি বের করলেও আরও অনেকগুলো শরীরে ছিল। এগুলো বের করতে কোনো হাসপাতালে যেতেন না ইমরান। ছররা গুলির কারণে ব্যথা অনুভূত হতো। তবুও তিনি এগুলো বের করতে ভয় পেতেন। নিয়মিত চাকরিও করছিলেন। মো. রাকিব মিয়া আরও বলেন, কোরবানির ঈদের দুইদিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন ইমরান। শুক্রবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুরের ভাড়া বাসায় চলে যান। সেখানে প্রচণ্ড ব্যথার একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন হয়ে যান। পরে তাকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক অভি চৌধুরী বলেন, মারা যাওয়া জুলাইযোদ্ধা ইমরানের স্ত্রী-সন্তানের পাশে সরকার দাঁড়াবে, সেইটাই প্রত্যাশা করি।

প্রিন্ট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
শরীরজুড়ে ছররা গুলি, ১১ মাস পর মারা গেলেন জুলাইযোদ্ধা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৩৫ এএম

শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের চপই মোহনপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয় । নিহত ইমরান হোসাইন একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও দেড় বছরের এক সন্তান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন গার্মেন্টস কর্মী ইমরান। তার বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলির স্প্লিন্টার ছিল। শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড ব্যথার একপর্যায়ে মারা যান তিনি। নিহত ইমরান হোসাইনের চাচাতো ভাই মো. রাকিব মিয়া বলেন, প্রায় ৭ বছর ধরে গাজীপুরের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন ইমরান। সেখানে স্ত্রীসহ দেড় বছর বয়সী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত বছরের ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এসময় ইমরানের বুক, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছররা গুলি লাগে। এমতাবস্থায় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি বলেন, শরীর থেকে চিকিৎসকরা কিছু ছররা গুলি বের করলেও আরও অনেকগুলো শরীরে ছিল। এগুলো বের করতে কোনো হাসপাতালে যেতেন না ইমরান। ছররা গুলির কারণে ব্যথা অনুভূত হতো। তবুও তিনি এগুলো বের করতে ভয় পেতেন। নিয়মিত চাকরিও করছিলেন। মো. রাকিব মিয়া আরও বলেন, কোরবানির ঈদের দুইদিন আগে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন ইমরান। শুক্রবার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গাজীপুরের ভাড়া বাসায় চলে যান। সেখানে প্রচণ্ড ব্যথার একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন হয়ে যান। পরে তাকে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক অভি চৌধুরী বলেন, মারা যাওয়া জুলাইযোদ্ধা ইমরানের স্ত্রী-সন্তানের পাশে সরকার দাঁড়াবে, সেইটাই প্রত্যাশা করি।