
প্রিন্ট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম
‘প্রাণিসম্পদের আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করা হবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

ছবি-সংগৃহীত
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে যদি কেন্দ্রগুলো নিজ নিজ এলাকায় সঠিকভাবে গবেষণার কাজ পরিচালনা করে। এ জন্য প্রাণিসম্পদের সমস্যা লাঘবে আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে শক্তিশালী করা হবে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্র আয়োজিত গোদাগাড়ীস্থ রাজাবাড়িহাট দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামার প্রশিক্ষণ ভবনে ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গবেষণা পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ দফতর সমন্বয়ভাবে কাজ করলে প্রাণিসম্পদখাতের অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন,‘যুব উন্নয়নের অন্যতম বিষয় হতে পারে প্রাণিসম্পদবিষয়ক প্রশিক্ষণ। আর এসব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা এবং নারী খামারিরা নারীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে। গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন করেও বড় উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া যায়। কৃষি দফতরের পাশাপাশি দেশের খাদ্য উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে থাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতর।’
বিএলআরআই-এর বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘গবাদিপশুতে লাম্পি স্কিন ডিজিস(এলএসডি) হওয়ার ফলে চামড়ায় কোনো প্রভাব পড়ে কিনা তা গবেষণা করে দেখতে হবে। কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রণোদনা দেওয়া হলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে এখনও পর্যন্ত প্রণোদনা দেওয়া হয়নি।’
উপদেষ্টা প্রত্যাশা করেন সংশোধিত বাজেটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রণোদনা দেওয়া হবে। কৃষিতে বিদ্যুৎ বিল ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া হলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে খামারিদের জন্য ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয় না। তিনি বলেন, ‘তবে যতদূর জানতে পেরেছি বাজেটে এ খাতে খামারিদের জন্য তিনশ তিন কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে দেওয়া হয়েছে।’
এদিন সকালে ‘উন্নত প্রযুক্তিতে স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ ও ভ্যালু এডেড পোল্ট্রি উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক খামারি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নত প্রযুক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিমের সংখ্যা বাড়াতে পারলে সকলের উপকার হবে পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আমিষের যোগান দিবে কারণ ডিম সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য। আমরা যদি মুরগি ও ডিমের উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে দেশের আমিষের ঘাটতি পূরণ হবে।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় খামারিরা প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) -এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের পরিচালক ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী, বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক মো. সাইফুদ্দিন।