
প্রিন্ট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
বন পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজমে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম

বন পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজমে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার এবং ইকো-ট্যুরিজম খাতে তুরস্কের অভিজ্ঞতা ও কারিগরি সহায়তা কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (২৭ মে) পানিভবনে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন (Ramis ŞEN)-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে উপদেষ্টা বলেন, বনভূমি সংকোচন ও খাদ্যঘাটতির কারণে সম্প্রতি হাতি মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব প্রবণ এলাকাগুলোতে বন পুনরুদ্ধার জরুরি হয়ে পড়েছে। টেকসই বন ব্যবস্থাপনায় এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, টেকসই পর্যটন এবং দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। উপদেষ্টা জানান, উপযুক্ত বৃক্ষ প্রজাতি রোপণ এবং প্রকৃতি-কেন্দ্রিক পর্যটন উন্নয়নে তুরস্কের কারিগরি সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিলেটসহ কিছু অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজম সাইট গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও তিনি জানান।
রাষ্ট্রদূত সেন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং জানান, তুরস্কের সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থা টিকা (TIKA) ঢাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পরিবেশবান্ধব খাতে মধ্যম পরিসরের প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য টিকা প্রস্তুত রয়েছে।
বৈঠকে টেকসই পর্যটন খাতে তুরস্কের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত জানান, টিকার ঢাকা অফিস ও উপদেষ্টার দপ্তরের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রকল্পগুলো চিহ্নিত ও বাস্তবায়নে তিনি সহযোগিতা করবেন। সেইসঙ্গে টিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গেও উপদেষ্টার সংযোগ স্থাপনে সহায়তা করবেন।
বৈঠকটি বন পুনরুদ্ধার ও ইকো-ট্যুরিজম খাতে বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে উভয় পক্ষের আন্তরিক সহযোগিতার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সভায় তুরস্ক দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন মারভে ওজচেলিক (Merve Özçelik) এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।