দেশের স্বার্থ বিনষ্ট হয় এমন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, দেশের স্বার্থ বিনষ্ট হয় এমন কোনও কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হবে না।

সোমবার (২৬ মে) সেনা সদরের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে করিডর ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লে. কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করবে না। 

তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুসারে সেনাবাহিনী কাজ করছে এবং সরকারের সঙ্গে কোনো মতপার্থক্য নেই।  

বাংলাদেশ সীমান্তে বিদেশি নাগরিকদের পুশ-ইনের বিষয়ে সেনা সদর জানিয়েছে, এটি কাম্য নয়। প্রয়োজন হলে সরকারের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী যুক্ত হবে, তবে বর্তমানে বিজিবি সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।  

এছাড়া, পাহাড়ের আত্মস্বীকৃত সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক ও তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি সেনাবাহিনী সমর্থন করছে না। সেনাবাহিনী কুকি-চিনের ৩০ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধারসংক্রান্ত সংবাদকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।  

ঈদে মানুষের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী দুই সপ্তাহ ধরে নিয়মিত টহল পরিচালনা করবে। গাড়ির গতি, টিকিট কালোবাজারি, কোরবানির পশুরহাটে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর রাখা হবে।  

মব ভায়োলেন্স ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।