
প্রিন্ট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৮:২৬ এএম
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে জারি

যুগেরচিন্তা২৪ প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১২:১০ এএম

ছবি : সংগৃহীত
'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় এই অধ্যাদেশ কার্যকর করা হয়, যা মূলত ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের ভিত্তিতে প্রণীত।
এর আগে, গত ২২ মে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
নতুন এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের আচরণকে "অসদাচরণ" হিসেবে চিহ্নিত করে তা দণ্ডনীয় অপরাধের আওতায় আনা হয়েছে। এগুলো হলো:
অনুগত্য লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলাভঙ্গ: কোনো কর্মচারী এমন আচরণে লিপ্ত হলে যা নিজের বা অন্য কর্মচারীর মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অনুগত্যহীনতা সৃষ্টি করে, অথবা দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়।
অননুমোদিত অনুপস্থিতি: যৌক্তিক কারণ বা ছুটি ছাড়াই কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত থাকা, কিংবা একক বা সমবেতভাবে দায়িত্ব পালনে বিরত থাকা।
প্ররোচনা: অন্য কোনো কর্মচারীকে দায়িত্ব থেকে বিরত থাকতে, অনুপস্থিত থাকতে বা দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে উৎসাহিত করা বা প্ররোচিত করা।
কর্তব্যে বাধা প্রদান: কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার দায়িত্ব পালনে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দেওয়া।
এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিম্নপদে অবনমিত করা, চাকরি থেকে বরখাস্ত করা কিংবা স্থায়ীভাবে অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রক্রিয়া ও আপিল:
- অভিযোগ গঠনের ৭ দিনের মধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হবে।
- দোষী সাব্যস্ত হলে, কেন শাস্তি প্রদান করা হবে না— সে বিষয়ে আরও ৭ কর্মদিবসের মধ্যে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হবে।
- যথাযথ শুনানির পর শাস্তি আরোপ করা যাবে এবং শাস্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
- তবে রাষ্ট্রপতির প্রদত্ত শাস্তির বিরুদ্ধে কোনো আপিলের সুযোগ নেই। শুধুমাত্র পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের আচরণে শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ আরও সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনি কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।