
প্রিন্ট: ২৭ জুন ২০২৫, ০৫:৫১ এএম
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতায় ৬২৬ জনকে আশ্রয় দেয় সেনাবাহিনী : আইএসপিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১১:২৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যায়। এ সময় সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা হুমকির মুখে থাকা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয়ের জন্য আগমন করেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেই সংকটময় মুহূর্তে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে মোট ৬২৬ জন নাগরিককে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। আশ্রয়প্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন: ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তি, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, এবং ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ অন্যান্য ১২ জন নাগরিক।
আইএসপিআর জানায়, উত্তাল পরিস্থিতিতে আশ্রয়প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই করার সময় না থাকায়, জীবন রক্ষা করাই ছিল প্রধান অগ্রাধিকার। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ১-২ দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। আর ৫ জনকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
১৮ আগস্ট আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং ১৯৩ জনের একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়, যা বিষয়টি নিষ্পত্তির দিকেই নির্দেশ করে। সেনাবাহিনী পরিষ্কারভাবে জানায়, এই আশ্রয়দানের উদ্দেশ্য ছিল শুধু মাত্র প্রাণ রক্ষা—আইনবহির্ভূত কোনো সহায়তা নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, কিছু কুচক্রী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করছে। আইএসপিআর জনগণকে এই ধরনের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং জাতির পাশে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে রয়েছে ও থাকবে।