
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে উত্তাল ইশরাক সমর্থকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১১:২৭ এএম

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনের মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে টানা অবস্থান ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মী ও অনুসারীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১০টায় কাকরাইল মোড়ে তাদের অবস্থান করতে দেখা যায়। এর আগের দিন রাতভর সেখানেই অবস্থান করছিলেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
ইশরাক সমর্থকদের অবস্থানের কারণে উচ্চ আদালতের সামনের সড়ক থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে, ফলে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন ‘যমুনা’-র দিকে যাওয়ার সড়কও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বিএনপি সমর্থকরা যেন যমুনার সামনে যেতে না পারেন, সে জন্য অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিক্ষোভকারীরা জানান, ১৪ মে থেকে টানা আন্দোলনে রয়েছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে নগরভবন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেসব অফিসের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও নাগরিক সেবা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে উচ্চ আদালতের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর বেলা ১১টার দিকে আরেকটি অংশ কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নেয় এবং রাতভর সেখানে বিক্ষোভ চালায়। বৃহস্পতিবার সকালেও তাদের অবস্থান অব্যাহত ছিল।
বিক্ষোভ চলাকালে তারা ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দাও’, ‘দফা এক দাবি এক, আসিফ-মাহফুজের পদত্যাগ চাই’, ‘আসিফ ভূইয়ার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া নজরুল ইসলাম বলেন, “এই আন্দোলনে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশ নিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবে না।”
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক সচিব মশিউর রহমান বলেন, “২০২০ সালের সিটি নির্বাচনে ইশরাক হোসেন বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এখন সেই নির্বাচন বাতিল করে নতুন গেজেট প্রকাশ করেছে কমিশন, যেখানে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এখনো তাকে শপথ নিতে দিচ্ছে না। এ কারণেই আমরা রাজপথে নেমেছি।”