
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪০ এএম
ডিএনসিসি প্রশাসক এজাজের অপসারণ দাবি গণঅধিকার পরিষদের, নুরের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে নগর ভবনের সামনে বুধবার (২১ মে) দিনভর বিক্ষোভ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। তবে ডিএনসিসি অভিযোগ করেছে, নুরুল হক নুর তার পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ না দেওয়ায় এই আন্দোলন সংগঠিত করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে দিন শেষে গণঅধিকার পরিষদ এক বিবৃতিতে ডিএনসিসির বক্তব্যকে “ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে উল্লেখ করে।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারজানা ববির পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ১৮ মে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানকে ফোন করে নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ দিতে চাপ দেন। প্রকৌশলী তাকে সরকারি ক্রয় বিধিমালা অনুযায়ী কোনো অনিয়ম করা যাবে না বলে জানালে, নুর ফোনে উত্তপ্ত হয়ে অফিসে তালা লাগানোর হুমকি দেন। এরপর ২০ মে বিকেলে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানারে গুলশান-২ নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন, যা সিটি কর্পোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটায়।
অন্যদিকে, গণমাধ্যমে পাঠানো পাল্টা বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদ এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে জানায়, মোহাম্মদ এজাজের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এজাজের ২০১৫ সালে গ্রেপ্তারের তথ্য এবং হিজবুত তাহরীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য প্রকাশ করেছেন বলে জানানো হয়।
গণঅধিকার পরিষদ জানায়, এজাজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। গাবতলী পশুর হাটসহ একাধিক প্রকল্পে কমিশন ছাড়া কাজ দেওয়া হয় না বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে। তারা অভিযোগ করে, সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েও গণঅধিকার পরিষদের এক সদস্যকে কাজ না দিয়ে কমিশন দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি জানালে নুরুল হক নুর প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ীই প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানান।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, গণঅধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি বন্ধ করতে এজাজ আর্থিক প্রলোভন ও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। এমনকি তার আত্মীয়দের পাঠিয়ে সমঝোতার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যা প্রত্যাখ্যান করা হয়।
গণঅধিকার পরিষদ স্পষ্টভাবে জানায়, একটি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত ব্যক্তিকে প্রশাসকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা রাষ্ট্রের জন্য হুমকি। তাই তারা মোহাম্মদ এজাজকে দ্রুত অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। এই কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদ ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল বলেও জানানো হয়।