
প্রিন্ট: ২৬ জুন ২০২৫, ০৩:০৪ এএম
শ্রমবাজার বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সফল সভা, যেকোন সময় শুরু হবে মালশিয়ায় শ্রমিক প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ০৩:১১ পিএম

ছবি : শ্রমবাজার বিষয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে নিরাপদ অভিবাসন ও শ্রমবাজার সম্পর্কিত তৃতীয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা বুধবার (২১ মে) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের বৈঠক ইতোমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এবং খুব শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার মালয়েশিয়া সরকারের ১৪ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. ম. শাহরিন বিন উমর। বাংলাদেশের পক্ষে বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফি সিদ্দিকি এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া।
সভা শেষে দুই দেশের সরকারের মধ্যে শ্রমিক নেওয়ার সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর হবে। মালয়েশিয়া আগামী ছয় বছরে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বৈঠকে আরও জানানো হয়, গত বছর শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা প্রায় ৮ হাজার কর্মী এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় বোয়েসেলের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা সীমিত রাখার বিষয়ে আলোচনা চলছে। মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার বিষয়েও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করছে।
অবৈধভাবে শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে বৈঠকে বলা হয়, অননুমোদিত পথে শ্রমিক গেলে তারা মালয়েশিয়ায় আইনগত সমস্যায় পড়েন, যা দুই দেশের অভিবাসন নীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা বৈধ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
শ্রমবাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে থাকা অর্থ ও মানব পাচারের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়া। এই বিষয়ে মালয়েশিয়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বায়রার নেতৃবৃন্দ শ্রমিকদের নিরাপদ অভিবাসন ও কম খরচে বৈধভাবে যাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, অবৈধ প্রক্রিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
দুই দেশের সরকার শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণে যৌথ উদ্যোগ নিচ্ছে এবং এই বিষয়ে আরও কার্যকরী সিদ্ধান্ত আসার অপেক্ষায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।