
প্রিন্ট: ০৪ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৫ এএম
টেকসই উন্নয়ন মানদণ্ড না মানলে বাড়বে ‘গ্রীনওয়াশিং’: পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১২:২৩ পিএম

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বিআইসিসিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত সেশনে কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: যুগেরচিন্তা২৪
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের যথাযথ মানদণ্ড নিশ্চিত না হলে ন্যায্য রূপান্তর সম্ভব নয়, বরং এতে ‘গ্রীনওয়াশিং’-এর ঝুঁকি বাড়ে। তিনি বলেন, টেকসই পরিবর্তন কেবল জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ না রেখে কৃষি, উৎপাদন, টেক্সটাইলসহ প্রতিটি খাতের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা জরুরি।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বিআইসিসিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত "বাংলাদেশ জাস্ট ট্রানজিশন একাডেমি: সবুজ অর্থনীতিতে সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ কাজ" শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, পোড়ানো ইটের বিকল্প নিয়ে কিছু উদ্যোগ থাকলেও, কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য তা যথেষ্ট নয়। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসকে আর প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর যেন কেবল প্রকল্প অনুমোদনের দপ্তর না হয়ে ওঠে, সে বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ভবন নির্মাণে শুধু ‘সবুজ সনদ’ যথেষ্ট নয়; বরং দেখতে হবে, তা নারীবান্ধব কি না, শ্রমিকদের বিশ্রাম নিশ্চিত হচ্ছে কি না, পানি পুনঃব্যবহার ও টেকসই জ্বালানি ব্যবহৃত হচ্ছে কি না।
বিদ্যুৎ খাতে অপচয় রোধে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই, অন্যদিকে জ্বালানিনির্ভর অপচয় বাড়াচ্ছি—এটি কেবল নীতির নয়, মূল্যবোধেরও প্রশ্ন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, এনজিও এবং বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করলে টেকসই পন্থাগুলো নীতিমালায় প্রতিফলিত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে।