
প্রিন্ট: ১৭ জুন ২০২৫, ০২:০৪ এএম
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে : আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জাতীয় সনদ তৈরি ও ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন আনতে চর্চা, ঐক্য এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আসছে, তা বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে একসঙ্গে পথ উন্মুক্ত করতে হবে, যাতে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যায়। এ আলোচনাও সেই প্রয়াসের অংশ।
তিনি আরও বলেন, শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত বা সুপারিশ যথেষ্ট নয়। সব গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে নতুন সম্ভাবনার পথে এগিয়ে নিতে হবে। কাজের জন্য শুধু লেখালেখি নয়, প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন চর্চা, প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার। তিনি বলেন, "আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি এবং থাকব।"
আলী রীয়াজ তরুণদের সাহসী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা, প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে, সবাই মিলে সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। ঐক্যের এই চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।"
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৯টি দলের কাছে স্প্রেডশিট আকারে মতামত চেয়েছিল, যার মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ হলো।
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা স্মরণ করে আলী রীয়াজ বলেন, সেই আন্দোলনের সাহসী নেতৃত্বের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায় সূচনা হয়, যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ঘটে।
সংলাপে কমিশনের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান।